ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাত𒆙ীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, “নিরক্ষরতার জন্য নির্বাচনে যে দেশে নামের পাশে প্রতীক ব্যবহার করতে হয়। কারণ সবাই প্রার্থীর নাম পড়ে ভোট দিতে পারে না। এমন বাস্তবতায় ইভিএমে ভোট নেওয়া𒁏 ঠিক হবে না।”
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনা🌠নী কার্যালয় মিলনা❀য়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইভিএম নির্বাচনে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না জানিয়ে কাদের বলেন, “ইভিএম নির্বাচনে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না, কারণ ব্যালট পেপার থাকে না। ভোটিং মেশিন যে রেজাল্ট দিবে, তাই ঘোষণা হবে। বিষয়টি হচ্ছে, দেশের মানুষ চাঁদে পাঠাতে চাচ্ছে সরকার কিন্🙈তু সেখানে বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে গণতন্ত্রের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না। বাচঁতে হলে লড়তে হবে।”
কাদের বলেন, “দেশে গণতন্ত্র নেই, একদলীয় স্বꩵৈরশাসন চালু হয়েছে। সংবিধানকে কাটাকাটি করে স্বৈরতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে সাংবিধানিক স্বৈরশাসন চলছে দেশে। তাছাড়া এখন আমরা যারা রাজনীতি করছি, তারা কেউই ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসিনি।”
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, “১৯৯০ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদের বিরুদ্ไধে মিথ্যে প্রচারণা আর অপবাদ দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে অপচেষ্টা করা হয়েছে। তখন বলা হয়েছিল স্বৈরতন্ত্র নিপাতক যাক আর গণতন্ত্র মুক্তি পাক। কিন্তু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর যা হয়েছে পুরোটাই উল্টো। পল্লীবন্ধু ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে গণতন্ত্র নিপাত গেছে আর স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, মো. হেলাল উদ্দিন, নাসির, আনোয়ার হোসেন তোতা, আনিস উর রহমান খোকন, সৈয়দ ইফতেকার আহ্সান হাসান, সম্পাদক মন্ডলী এম এ রাজ্জাক খান, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু, জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, ডা. সেলিমা খান, ফয়সল দিদার দিপু, ছাত্র সমাজের সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মহনগর উত্তর জ𝓡াতীয় পার্টির সকল থানার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং আহ্বায়ক/সদস্য সচিব উপস্থিত ছিলেন।