নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : আরও দুইজন গ্রেপ্তার

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ১০, ২০২২, ০৪:৫২ পিএম

রাজধানওীর নিউ🅠মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুই দোকান কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. কাওসার ও মো. বাবু হোসেন নিউমার্কেটের ‘ক্যাপিটাল’ নামের একটি খাবারের দোকানের কর্মচারী।

সোমবার রাতে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থে🌺কে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপ𝓰-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।

উপ-কমিশনার আজিমুল হক বলেন, “ক্যাপিটালের দুই কর্মীকে সংঘর্ষের সময়ꦐ পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।”

‘ক্যাপিটাল’ ও ‘ওয়েলকাম’ দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল। গত ৫ মে একই মামলায় ওয়েলকামের দুই কর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব ও মেহেদী হাসান বাপ্🐷পিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া নাহিদ হত্যা মামলায় ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান সিয়াম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের আব্দুল কাইয়ুম, একই বর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পলাশ মিয়া ও মাহমুদ ইরফান, বাংলা ব🀅িভাগের ফয়সাল ইসলাম এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের জুনায়েদ বুগদাদীকে পুলিশ 🗹গ্রেপ্তার করেছে।

গত ১৮ এপ্রিল নিউমার্কেটের ওই দুই দোকানের কর্মীদের বাকবিতণ্ডার পর এক পক্ষ ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীকে ডেকে আনে। তারা মারধরের শিকার হওয়ার পর ছাত্রাবাসে ফিরে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মধ্যরাতে নিউমার্কেটে হামলা চালাতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সংঘর্ষ চলে পরদিনও। দিনভর সংঘর্ষের সময় ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়াকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অ🥀বস্থায় রাতে তিনি মারা যান। একই দিনে সংঘর্ষের সময় দুপুরের দিকে নুরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হন মো. মোরসালিন নামের এক দোকান কর্মী। দুদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষের ওই ঘটনায় নিউমার্♌কেট থানায় দুটি হত্যা মামলার প𒁏াশাপাশি সংঘর্ষ, বোমাবাজি এবং অ্যাম্বুলেন্সে হামলার অভিযোগে মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সংঘর্ষের মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে কয়েকশ ছাত্র ও দোকানকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ইতোমধ্যে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।