দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও শুভাকাဣঙ্ক্ষীদের শ্রদ্ধায় সিক্ত গীতিকবি কে জি মোস্তফা। সোমবার (৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর আগে, আজিমপুর ܫনিউ পল্টন কলোনির শাহী মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে কে জি মোস্তফার মরদেহ প্রেস ক্লাবে নেওয়া হয়। আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’— এমন জনপ্রিয় অসংখ্য গানের রচয়িতা ছিলেন কে জি মোস্তফা। রোববার (৮ মে) রাত ৮টার দিকে গীতিকার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট কে জি মোস্তফা আজিমপুরে নিজ বাসায় অসুস্থবোধ করলে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি 🐻ও হ⛎ৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন।
১৯৩৭ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন কে জি মোস্তফা। তিনি ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ🎃 করেন। দৈনিক ইত্তেহাদে ১৯৫৮ সালে শিক্ষানবিশ হিসেবে সাংবাদিকতায় যোগ দেন ܫতিনি।
১৯৭৬ সালে তিনি বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারভুক্ত হন এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা ꦑঅধিদপ্তরের সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে সিনিয়র সম্পাদক (যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদা) হিসেবে অবসর নেন।
খ্যাতিমান এই গীতিকার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগ কর্তৃক পদক ‘দেশবরেণ্য গীতিকার’ পদকসহ আরও বꦫহু পদকে ভূষিত হয়েছেন।