ঈদ উপলক্ষে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে মিলবে লঞ্চের আগাম টিকিট। রোববার বিআইডব্লিউটিএ, প্রশাসন ও লঞ্চ মালিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ꧅নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক (মিডিয়💃া) মোবারক হোসেন মজুমদার।
মোবারক হোস⛎েন মজুমদার বলেন, “ঈদের ৫ দিন আগে থেকে লঞ্চে করে কোনো মোটরসাইকেল পরিবহন করা যাবে না। ঈদের পরের ৫ দিনও এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। এছাড়া ঈদের পাঁচ দিন আগে ও পাঁচ দিন পরে নদীতে কোনো বালুবাহী ট্রলার ཧচলাচল করতে পারবে না।”
এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, “অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। আর টার্মিনালগুলোতে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেও♈য়া হবে।”
সদরঘাট থেকে ৪৩টি রুটে লঞ্চ চলাচল⛎ করে। সাধারণ সময়ে প্রতিদিন সেখান থেকে গড়ে ৮০টি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদযাত্রায় প্রায় দুইশ লঞ্চ চলাচল করে।
বুয়েটের এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, এ বারের রোজার ঈদের সময় প্রতিদিন গড়ে ৩০ লাখ মানুষ গ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। রোববার যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের এ তথ্য তুলে ধরে বুয়☂েটের দুর্ঘটনা ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হাদিউজ্জামান বলেন, প্রতিদিন ১৬ লাখ যাত্রী স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহনে ঈদযাত্রা করতে পারবেন। এর মধ্যে বাসে ৮ লাখ, ট্রেনে এক লাখ, লঞ্চে ১ লাখ ২৫ হাজার, মোটরসাইকেল ৩ লাখ এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে ৩ লাখ মানুষ যেতে পারবে। কিন্তু ১৪ লাখ যাত্রী কোনো যানবাহন পাবেন না। ফলে তারা ‘বিকল্প উপায়ে’ যাবেন।