পথে ভোগান্তি কমলে পণ্যের দামও কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২২, ০৫:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

দেশে পণ্যের সরবরাহ, চাঁদাবাজিসহ পথে পথে ভোগান্তি কমলে পণ্যের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ⛎টিপু মুনশি।

সোমবার (৪ এপ্রিল) ব🥀িকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্🐲রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির প্রথমসভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় পথে পথে চাঁদাবাজির অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “কিছুক্ষণ আগেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এখানে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন। তিনি এ বܫিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছেন, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোথায় কোথায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, খোঁজ💮 নিয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।”

টিপু মুনশি আরও বলেন, “ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় তেলের দাম না কমলে আমরা কমাতে🔯 পারবো না। ভ্যাট কমানোয় তেলের দাম বাজারে কমেছে। বাজারে পেঁয়াজের দামও কম। বাসার জন্য আমি ২৮ টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি।”

এর আগে টাস্কফোর্স কমিটি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ এ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু সুপারিশ করেছে। তার মধ্যে অন🔴্যতম সুপারিশগুলো হলো-

>> সমুদ্র ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং শুল্ক স্টেশনসমূহ পবিত্র রমজ🐲ানের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খালাসে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ফেরি পারাপারে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এছাড়া ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন𝐆 প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

>> কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মজুতকারীদের বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্🉐থার নজরদারি বাড়াতে হবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা করবে।

>> পাইকারি হতে খুচরাপর্যায়ে অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়ে কঠোর নজর♉দারি বাড়ানো এবং খুচরা পর্যায়ে মূল্যতালিকা প্রদর্শন এবং সব ধাপে পাকা রশিদ সংরক্ষণের বিষয়টি💛 নিশ্চিত করতে হবে।

>> ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ ২০১১’ -র ফরম ‘ঘ’ অন⭕ুসরণ করে সরবরাহের আদেশ (এসও) দিতে হবে এꦬবং প্রকৃত ডিলার ছাড়া হাত বদল হওয়া এসও-তে পণ্য সরবরাহ না করার বিষয়ে মিলসমূহকে বাধ্য করতে হবে।

>> ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ে পাইকা𝓀রি হতে খুচরা সব পর্যায়ে পাকা রশিদ (প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানাসহ মুদ্রিত তথ্য) দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে হবে।

>> ভোজ্যতেলের মিলগেট, পরিবেশক ও ভোক্তাপর্যায়ে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ, সঠিকভাবে প্রদর্শন ও বাস্তবায়ন, অবৈধভাবে পণ্য মজুত ও বা𓆉জারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত সব আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

>> ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী মিল কর্তৃক অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ, পরিশোধনের পরিমাণ ও পরিবেশকদের কাছে সরবরাহের পরিম𝓀াণে সামঞ্জস্য রয়েছে কি না, তা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে পাঠাতে হবে।

>> ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১’-এর অনুচ্ছেদ ৯(১), ৯(২), ৯(৩), ১২(১) ও ১২(৪) এবং ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৮, ৪০ ও ৪৫ যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা ও কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম🅠ের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে করণীয় হিসেবে মিলসমূহে তদারকি জোরদার করতে হবে।

>> মিল কর্তৃক পরিবেশক নিয়োগ সংক্রান্ত হালনাগাদ তালিকা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যানꦺ্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে সরবরাহ এবং ভোজ্যতেল রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এ সময় আরও ♉উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএমএ শফিকুজ্জামানসহ বᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্যবসায়ীরা নেতারা।