স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ০৩:২৯ পিএম

র꧑াজধানীর মুগদা, খিলগﷺাঁও ও ওয়ারীতে পৃথক ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক✱) মর্গে পাঠানো হয়।

তারা হলেন 🎐স্কুল শিক্ষার্থী মুগদার শান্তা আক্তার (১৫), খিলগ🦹াঁওয়ের রওশন আরা বেগম (৬০) এবং ওয়ারীতে অজ্ঞাত এক নারী। তার আনুমানিক বয়স ৪০ বছর।

মুগদা থ▨ানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু আনছার বলেন, “খবর পেয়ে আমরা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শান্তা আক্তারের মরদেহ নিয়ে ঢামেক মর্গে পাঠাই। তার স্বজনরা বলছে, সে ঘরের আড়ার সঙ্গে ꦺওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দিয়েছে। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

এসআই আরও বলেন, “এছাড়া তার গলায় চিকন দাগ দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ নিয়ে থানায় 💝একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।”

নিহতের মা সাহিদা আক্তার বলেন, “আমার মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। আমরা বাসায় ফিরে দেখি সে ওড়না গলায়🐽 পেঁচিয়ে ঝুলে আছে।&rdquo𝓀;

অপর দিকে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোছা. সনিয়া পারভীন বলেন, “আমরা ৯৯৯ ফোন পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে খিলগাঁও কবরস্থানের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে গাছের ডালে রশি🌜 দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রওশন আরার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় মরদেহ।”

সনিয়া পারভীন আরও বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে তার স্বজনের൲ কাছে জানতে পেরেছি দীর্ঘদিন ধরে🦋 মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সে কারণে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।”

নিহতের ছেলে সজীব বলেন, “আমার মায়ের প্রায় ১০-১২ বছর ধরে মানসিক সমস্যা ছিল। গত রাতে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে আমরা খবর পাই🍨 তিনি আত্মহত্যা করেন।”

অপর দিকে ওয়ারী👍 থানার ওয়ান্ড🧸ারল্যান্ড পার্কের প্রথম গেটের ভেতর থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওয়ারী থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শা🍬হজাহান মিয়া বলেন, “খবর পেয়ে রাতে পার্🍒কের প্রথম গেটের ভেতর থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।”

মো. শাহজাহান মিয়া আরও বলেন, “এলাকার লোকজনের কাছে জানতে পারি তিনি ওই এলাকায় ভবঘুরে ছিলেন। ওই পার্কেই থাকতেন, সেখানে ঘুমাতেন। প্রাജথমিকভাবে ধারণা করছি অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেল🍎ে সঠিক কারণ জানা যাবে।”