কেন আত্মহত্যা করলেন নায়ক রিয়াজের শ্বশুর

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ০৯:৫০ এএম
ছবি: সংগৃহীত

নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল ♔দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যার আগে আবু মহসিন খান ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেন। এ স✅ময় তার ব্যক্তিজীবনের নানা হতাশার কথা তুলে ধরেন তিনি।

জানা যায়, 🐓ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসিন খান। তিনি নায়ক রিয়াজের শ্বশুর। 

তবে পুলিশ বলছে, বুধবার রাত ৯🅺টার দিকে তিনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন। 

বিষয়টি ধানমন্ড𒁏ি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এদিকে আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আত্মহত্যার আগে আবু মহসিন খানের দেওয়াജ বক্তব্যে যাদের প্রসঙ্গ 🦄উঠে এসেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

যে কারণে আত্মহত্যা করলেন আবু মহসিন খান

‘আমি মহসিন। ঢাকায় থাকি। আমার ব♔য়স ৫৮ বছর। কোনো একসময়ে আমি ভালো ব্যবসায়ী ছিলাম। বর্তমানে আমি ক্যানসারে আক্রান্ত। তাই আমার ব্যবসা কিংবা কোনো কিছুই নেই। ভিডিও লাইভে আসার উদ্দেশ্য হলো, মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং আমার যে এক্সপেরিয়েন্স, সেটা শেয়ার করলে হয়তো সবাই জানতে পারবে, সবাই সাবধানতা অবলম্বন করবে।

‘গত ৩০ তারিখ আমার খালা মারা যান। তাঁর একটি༺ ছেলে আমেরিকায় থাকে, মা মারা গেল অথচ ছেলেটি আসল না। এটা আমাকে অনেক দুঃখ দিয়েছে। কষ্ট লেগেছে।

‘আজকে আমার আরেকজন খালা মারা গিয়েছেন। তাঁরও একটি ছেলে আমেরিকায় ছিল। অবশ্য তাঁর তিনটা ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। তিনজনই বর্তমানে বাংলাদেশে আছেন। তারা হয়তো দাফন-কাফনের কাজ সম্পন্ন করছে। সেদিক দিয়ে বলব,🐻 এই খালা অনেকটা লাকি।’

‘আমার একটামাত্র ছেলে। সে অস্ট্রেলিয়াতে থাকে। আমার বাসায় আমি সম্পূর্ণ এ🐭কা থাকি। আমার খালা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ভেতরে খুব ভয় করছে। আমি যদি আমার বাসায় মরে পড়েও থাকি, আমার মনে হয় না যে এক সপ্তাহ কেউ জানতে পারবে, আমি মা⛎রা গেছি।

‘ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী-যাদের জন্য যা-ই কিছু আমরা করি। আমরা সবকিছু করি সন্তান এবং ফ্যামিলির জন্য। আপনি যদি এক শ টাকা ইনকাম করেন, আয় করেন; তার টোয়েন্টি পারসেন্ট টাকাও আপনি নিজের জন্য ব্যয় করেন না। যদি টোয়েন্টি পারসেন্ট টাকা আপনি নিজের জন্য ব্যয় করে🌄ন, তাহলে ৮০ পারসেন্ট টাকা আপনার ফ্যামিলি𒁏র জন্য ব্যয় হয়।

‘গত করোনা শুরুর আগে থেকে আমি বাংলাদেশে আছি। একা থাকা যে কী কষ্ট—যাঁরা একা থাকেন, তাঁরাই একমাত্র বলতে পারেন বা বোঝেন।&rsq𝓡uo;

‘যাদের জন্য আমি বেশি করছি, প্রত্যেকটা লোকের কাছে আমি প্রতা🤪রিত হয়েছি। আমার এক বন্ধু ছিল, নাম কামরুজ্জামান বাবলু। যাকে আমি না খেয়ে তাকে খাইয়েছি। সে আমার ২৩ থেকে ২৫ ল♔াখ টাকা মেরে দিয়েছে।’

মহসিন পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে। আত্মহত্যাা করার সময় তিনি ফেসবুক লাইভে ছিলে𓂃ন। খবর পেয়ে পুলিশ তার ম💞রদেহ উদ্ধার করে।