বাঙালির গর্ব ভাষার মাসের শুরু

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২, ০৯:৪১ এএম

বাঙালির গর্ব, বাঙালির অহংকারের মাস ফেব্রুয়ারি। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’—রক্তে রাঙানো এই ফেব্রুয়ারি মাসেই ভাষার জন্য় যুদ্ধ হয়। ১৯৫২ সালের এই মাসেই বুকের রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে আনা হয় বাংলা ভাষার অধি🅷কার।

বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়েছিল এই ভাষার সংগ্রামেই। যার ধারাবাহিকতায় অর্জিত হয় ৭১-এর চূড়ান্ত বিজয়। স্বাধীন হয় বাংলাদেশ🌊। আজ ১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, পুরো মাসজুড়ে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় বাঙালি জাতি ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ। সেবার প্রথম উন্মেষিত হয় জাতীয় চেতনার। সেই🧸 বছর একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাংলা পায় বাঙালির মাতৃভাষার মর্যাদা। পরে সেই পথ ধরেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার আন্দোলনে সোচ্চার হয়ে ওঠে। একাত্তরে ৯ মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করে বাঙালি। অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি শুরু হয় ১💟৯৪৭ সালে থেকেই। ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব দেন। তখনই তীব্র প্রতিবাদ ওঠে বাঙালির। এক বছর পরেই ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা দেন, ‘একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ এরপরই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে&nb🐟sp;বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন। পরে ১৯৫২-এর ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলন পূর্ণতা পায়।

এখানেই শেষ নয়,ও ১৯৫২ সালে বাংলার বিপরীতে উর্দুকেই প্রাধান্য দেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন। বায়ান্নর ৩০ জানুয়ারি ঢাকার এক জনসভায় একইভাবে খাজা নাজিমুদ্দীনও বলেন, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’

কিন্তু প্রতিবাদে ফেটে পড়া গোটা বাঙালি জাতি দাবি জানান, উর্দু ও বাংলা উভয়ই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভ🐟াষা। কিন্তু পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করার কথা ঘোষণা দেয়। শুরু হয় আন্দোলন। বাঙালি জাতি মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে রাজপথে নেমে আসে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রতিবাদে ভাষা আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে।

এরপরই ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্র-জনতার মিলিত হয় ভাষা আন্দোলনে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে গোটা পূর্ব পাকিস্তান। সরকারের নিষেধাজ্ঞাও তাদের থামিয়ে রাখতে পারেনি। বুক পেতে রাজপথে আন্দোলনে নামে। রক্ত ঝরিয়ে প্রাণ দেয় মায়ের ভাষার জন্য়। বায়ান্নর ২💜১শে ফেব্রুয়ারিতে লাখো শহীদ নিজেদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আজকের বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে ছিনিয়ে আনে।

’৫২ 🐽সালে ভাষার জন্য় আগুন জ্বেলেছিল বাঙালি। সেই আগুনই ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে। সেই আগুন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে। যা এসে শেষ হয় একাত্তরের ১৬ ডিস𓃲েম্বরে। চূড়ান্ত বিজয় নিয়ে আসে বাঙালিরা। পৃথিবীর বুকে জন্ম দেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।