স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে তৎপরতা

টিকার সনদ দেখছে না ‘বিআরটিএ’

আবদুল্লাহ আল মামুন প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তদ꧙ারকির জন্য রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নামিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অথরিটি (বিআরটিএ)। রাজধ🌸ানীতে প্রথম দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত শুধু স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, বাসচালক-হেলপারদের টিকার সনদ দেখছেন না বলে জানান আদালত-৪-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন। পরবর্তী নির্দেশনা এলে টিকা সনদ দেখার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) এই দুই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বেশ কিছু প♏রিবহনকে জরিমানার আওতায় আনা হয়। পাশাপাশি মাস্ক পরিধান না করে গণপরিবহনে চলাচল করায় বহু যাত্রীদের সতর্ক করা হয় এবং মাস্ক ব্যবহার না 🔴করার জন্য অনেক যাত্রীকে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের পাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনඣ কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই আদালতের মুখোমুখি না হতে মৎসভবন মোড় থেকে শাহবাগগামী কিছু বাস কাকরাইল, ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় ঘুরে যেতে দেখা গেছে।

তবে নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকায় একটি বা দুটি এড়াতে পারলেও অন্যায় করে ছাড় পাওয়া যাবে না বলে জানান বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন। তিনি বলেন, “প্রথমদিন হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছ👍ে কি না, তা আমরা দেখছি। আজকে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেখা যাচ্ছে না। কয়েকটি পরিবহনে এক দুজন যাত্রীকে মাস্ক না পরে চলতে দেখা গেছে। তাদের কাউকে সতর্ক করা হচ্ছে এবং অনেককেই ন্যূনতম ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তবে আগের চেয়ে অনেক মানুষ সচেতন হয়েছেন।”

ফিরোজা পারভীন আরো বলেন, “সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী বাস ও চালকদের কাগজপত্রও চেক করা হচ্ছে। যাদের কাগজ সঠিক পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৪ থেক🍌ে ১৫টি বাসকে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে এবং ৩০ থেকে ৩৫টির মতো গাড়ি পরীক্ষা করা হয়েছে।”

বাসচালক-হেলপারদের টিকার সনদ দেখা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‘সংবাদ প্রকাশ’-কে বলেন, “আমরা এখন বাসচালক-হেলপারদের টিকার সনদ দেখছি না, তবে পরবর্তী নির্দে🐈শনা এলে আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবো।”

এদিকে সিটের চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চালক-হেলপরাররা। তারা বল🦂ছেন, বিধিনিষেধ মেনেই যাত্রী পরিবহন করছেন তারা।

মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাসচালক-হেলপারদের মুখে মাস্ক নেই। যদিও টার্মিনাল থেকে মাইকিং করে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত,ꦇ তাই মাস্ক🍷 পরতে হবে।

বাসসহ গণপরিবহনে বিধিনিষেধ কার্যকরের প্রথমদিন শনিবার দুপুর পর্যন্ত 🐓রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টের চিত্র দেখা গেছে গতানুগতিক দিনের মতোই। বেশির ভাগ বাসেই দেখা গেছে দাঁড়ানো যাত্রী। অধি꧋কাংশের মুখে ছিল না মাস্ক।

ভোগান্তির আশঙ্কায় করোনার বিধিনিষেধে বাসে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশ প্রত্যাহার করলেও শর্ত ছি༒ল সিটের চেয়ে বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। যাতౠ্রী, চালক ও হেলপার সবাইকে পরতে হবে মাস্ক। এসব মানা হচ্ছে সামান্যই।