যৌতুক-পরকীয়ার জেরে স্ত্রী-কন্যাকে হত্যা

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২, ০১:৩৪ পিএম

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন মো. সোলেমান (৩৫)। পরে ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে পিংকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোলেমান গ্রামের বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাদের ১০ বছরের সংসারে ফারিয়া সুলতানা (৫) ও সালমা আক্তার জান্নাত (৪ মাস) নামে দুই কন্যাসন্তান ছিল। পিংকির পারিবারিক অবস্থা ভালো হওয়ায় সম্প্রতি যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে সোলেমান। একপর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় নিজের স্ত্রী 🅠ও চার মাসের কন্যাসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেন সোলেমান। সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে সোলেমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (স🦩িআইডি)।

মঙ্গলবার (১১ জানু🐎য়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

এসএসপি মুক্তা জানান, পিংকি যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোলেমান পাশের এলাকার এক নারীর সঙ্🅺গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এটা জানার পর স্ত্রী পরকীয়া থেকে সোলেমানকে সরে আসার জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে পিংকিকে এবং পরে চার মাস বয়সী শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেন সোলেমান।

মুক্তা ধর আরও জানান, গলা কেটে হত্যার পর কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে ঘরের মেঝেতে রেখে তালা দিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যান সোলেমান। হত্যাকাণ্ডের পর পিংকির বাবা আব্দুল খালেক দুলাল বাদᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚী হয়ে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার হয়।

এসএসপি মুক্তা জানান, ঘটনার পরপরই সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে 🌼হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে সোলেমান💦 হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে সোলেমান হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

এই ডাবল মার্ডﷺারে সোলেমান একাই জড়িত ছিলেন বলেও☂ জানান তিনি।