সদ্য বিদায়ী ২𒅌০২১ সালে দেশব্যাপী সড়ক, নৌ ও রেলপথে সব মিলিয়ে ৪ হাজার ৯৮৩টি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৫ জন।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধু♍রী হলে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আয়োজিত ‘২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনা পরিসংখ্যান উপস্থাপন’ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
এ পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনের কাজটি করা হয়েছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা এবং শাখা সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনের তথ্য। অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে এক মি🌜নিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার প্রকারভেদে দেখা যায়, সড়ক পথে ৩ হাজার ৭৯৩টি দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ২﷽৮৯ জন নিহত ও ৫ হাজার ৪২৪ জন আহত; রেল পথে ২৭০টি দুর্ঘটনায় ২৫৪ জন নিহত ও ৪২ জন আহত; নৌ পথে ৯০টি দুর্ঘটনায় ১৯৮ জন নিহত, ১৮৬ জন নিখোঁজ ও ৩৩৯ জন আহত; অপ্রকাশিত তথ্যে প্রায় ৮৩০টি দুর্ঘটনায় ৯৪৮ জন নিহত হয়েছেন🙈। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তির পর ও হাসপাতাল থেকে রিলিজের পর আনুমানিক ২০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ৩ বছরের সড়ক দুর্ঘটনার চিত্রে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৯৮৩🔯টি। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি হয়েছে ৮৯১টি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭০২টি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালের সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কম ৬১০টি। কিন্তু এবারে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনা বেশি লক্ষণীয়। যা ২০২০ সালের দুর্ঘটনার অনুপাত থেকে ২১ শতাংশ বেশি। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশেও এর ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে অফিস-আদালত, দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ থাকে। মূলত ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কম হওয়ার কথা তারপরও আগের বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হওয়াটা উদ্বেগের বলছে সংগঠনটি।
২০২১ সালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্সের ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালনা করা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালনা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালনা বন্ধে আইনের প্রয়োগܫ না থাকা, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, একই রাস্তায় বৈধ ও অবৈধ এবং দ্রুত ও শ্লথ যানবাহন চলাচল, রাস্তার পাশে হাটবাজারꦅ ও দোকানপাট থাকা।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিসচার মহাসচিব সাদেক হোসেন বাবু, দুর্ঘটনা ওꦑ পরিসংখ্যান সম্পাদক সৈয়দ এহসানুল হক কা🔯মাল, বুয়েট অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ।