মানব উন্নয়নসহ সব সূচকে আম🐬রা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি বল🦩ে উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমাꦉর্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত সিএমএসএমই বাণিজ্য মেলা ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “স্বাধীনতার পর পাকিস্তানিরা আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করত এই বলে যে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে টিকবে না। আমরা যখন স্বাধীনতা অর𒅌্জন করি তখন সবক্ষেত্রে পাকিস্তান থেকে পিছিয়ে ছিলাম। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে বহুদূর পেছনে 𝔉ফেলেছি। আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যসহ সকল সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি।”
মন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বঙ্🌼গবন্ধুর দেশ রচনা সার্থকতা, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের সার্থকতা, ২ লাখ মা বোনের ইজ্জত হারানোর সার্থকতা, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এই দেশের নেতৃত্ব দেবার সার্থকতা দেখে পাকিস্তান আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন আজকের সব সূচকই বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিলাম, আজকে আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ ছিলাম, এখন আমরা মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশ পৃথিবীর আয়তনের দিক দিয়ে ৯২তম, কিন্তু আমরা পৃথিবীতে চাল উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়, শাক-সবজি উৎপাদনে দ্বি🧔তীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম। আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তান কেন শুধু ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।”
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “আজকে দেশ এভাবে এগিয়ে যেতে পারতোনা, যদি এই উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে সম্পৃক্ত করা না হতো। দেশ এগিয়ে যাবার পেছনে অন্যতম প্রধান♒ কারণ হচ্ছে আমাদের নারীরা এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।”
মাꩵনুষের মাথাপিছু আয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মাথাপিছু আয় আজকে দুই হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার। দেশের দুই কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় প্রায় ১০ হাজার🦂 ডলারের কাছাকাছি। আগামী এক দশকে এ সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হবে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আপনা⛎রা জানেন সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন। ইনশাল্লাহ খুব সহসা তিনি চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের বাণিজ্য মেলার ভেন্যু নির্ধারণ করে দিবেন। সেটি আপনারা খুব সহসা জানতে পারবেন। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।”
চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ রেলওয়ের আমবাগান রোডস্থ শহীদ শেখ রাসেল পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ 🦂অতিথ🌊ির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, নারী উদ্যোক্তা নুরান ফাতিমা, আলী সাবের, বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান রেখা আলম চৌধুরী প্রমুখ।