আজ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১, ০৮:৫৮ এএম

১৮ ডিসেম্বর, শনিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত অভিবাসন ও বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ঘিরেই এ দিবসের উৎপত্তি। প্রতিবছর এই দিনে দিবসটি পালিত হয় বিশ্বব্যাপী। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি&nbs💯p;নিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈ🍸দেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। পরে ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং 🧸তাদের পরিবারের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪৫/১৫৮ প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে।

‘শতবর্ষে জাতির পিতা, সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’ এই বিষয়কে ဣ;প্রতিপাদ্য করে দিবসটি জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে।এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “অভিবাসী শ্রমি💎করা যেন কোনো ধরনের শোষণ, বঞ্চনꦯা ও হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।”

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশিদꦅের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “শ্রম-অভিবাসন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য আয় করছেন। তাদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স অবদান রাখছেꩵন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও। অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।”

এদিকে পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বৈশ্বিক শ্💜রমবাজারে কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতিমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তাদের ꦑজন্য স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।”

প্রায় ৩ লাখ প্রবাসী কর্মীকে বিশেষ ব্যবস্থায় -সুরক্ষা-অ্যাপসের আ⛄ওতায় এনে ভ্যাকসিন দেওয়া বলেও বাণীতে উলেখ করে ꧋প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “টেকসই উন্নয়নের মূলকথা, কেউ পিছিয়ে থাকবে না। বাস্তবায়নে আমরা সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ🐻 করে যাচ্ছি।”

সংশ্🐓লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের অভিবাসীরা। দেশের উন্নয়নে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া এখন বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশ বাংলাদেশ। একাত্তরের স♓্বাধীনতার পর থেকে অভিবাসীরা দেশে এই পর্যন্ত ২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।