বাংলাদেশ প্রকৌশল ব𝄹িশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন𝓰 রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “এ রায়ের মাধ্যমে দেশবাসী একটি কলঙ্ক থেকে আইনের ম💛াধ্যমে বিচারের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে।”
এ আইনজীবী আরো বলেন, “আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলে প্রতিনিয়ত এমন নির্যাতন চলে। আবরার হত্যা মামলার রায় তাদের জন্য একটি ম্যাসেজ। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর রাজনৈতিক দলগুলো যে নির্যাতন চালায় তাদের জন্যও এ রায় একটি সতর্কবার্তা।🍌”
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী🥂কে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, “আমি অনুরোধ করবো- বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এমন ঘট🐽নার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। ছাত্রলীগ করলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে হবে।”
এর আগে এদিন সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২💫২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার অপর🎐 তিন আসামি শুরু থেকে পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাಞপ্ত আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ওরফে অপু, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বহিষ্কৃত কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ। এদের মধ্যে তিন আসামি জিসান, তানিম ও রাফিদ পলাতক রয়েছেন। জিসান ও তানিম এজাহারভুক্ত ও রাফিদ এজাহার-বহির্ভূত আসামি।
এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, বহিষ্কৃত গ্রন্থ ও 💝প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, বহিষ্কৃত আইন বিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা ও আকাশ হোসেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে 𒁃স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই দিনগত রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ওষে থাকতেন তিনি।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনে𓄧র বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।