শেখ হাসিনার ‘৪০০ কোটি’র সেই পিয়নের বিরুদ্ধে মামলা

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
শেখ হাসিনার আলোচিত পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীඣ শেখ হাসিনার আলোচিত ব্যক্তিগত সহকারী (পিয়ন) ‘চারশ কোটি টাকার মালিক’ মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আরেকটি মামলায় ত✤ার স্ত্রী কামরুন নাহারকেও আসামি করা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে 🍌মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে আসামি জাহাঙ্গীর আলমജ মোট ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। এসব অর্থ ভোগ করতে তিনি ও তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলেছেন।

মামলায়ꦆ অভিযোগ করা হয়েছে, আটটি ব্যাংকের ২৩টি হিসাবে তিনি ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা ও ৬২৪ কোটি ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৬৭১ ট꧟াকা উত্তোলন করেছেন। যা দুদকের অনুসন্ধানে সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

অভিযোগ করা হয়েছে, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হিসা☂বে জমা হওয়ার পর আসামি জাহাঙ্গীর বিভিন෴্ন পন্থায় তা স্থানান্তর করেছেন। যার মধ্যে তার মালিকানাধীন স্কাই রি এরেঞ্জ নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি চলতি হিসাবে শুধু ২০২৪ সালের (প্রথম ৫ মাসে) ৮৩ দিনে মোট ১৭৮ কোটি টাকা জমা এবং ১৭৮ কোটি ৯৩ টাকা উত্তোলন করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন তীব্র হওয়ার আগের দিন ১৪ জুলাই গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জ♊বাবে আসামি জাহাঙ্গীরের প্রসঙ্গ আনেন।

শেখ হাসিনা তখন বলেন, “আমার বাসার একজন পিয়♍ন ছিল, সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক! হেলিকপ্টার ছাড়া নাকি চলে না। পরে তাকে ধরা হয়েছে। খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।” এরপরই আলোচনায় আসেন জাহাঙ্গীর আলম।

অন্তর্বর্তী সরকার তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। জব্দ করা হয় তার ব্যাংক অ্যাক🔜াউন্ট। পরে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম পরিবারসহ আমেরিকায় পালিয়েছেন।

জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলায় বলা হয়েছে, ৬ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদ꧅ ไভোগ দখলে রাখার মাধ্যমে তিনি দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।