ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো গ্রেপ্তার প্রভাবশালী ১৬ নেতাকে

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
আদালত প্রাঙ্গণে আসামিরা। ছবি : সংগৃহীত

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী🅰 অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে করা এক মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ১৬ নেতাকে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে একটি প্রি🎃জনভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলা⛎মসহ অন্য আসামিদের বিভিন্ন কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

তাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্ꦏতগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখি💛লের কথা রয়েছে। এই মামলাতেই আজ ১৬ জনকে হাজির করা হয়।

ꦛএর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সর𒁃কারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

এরপর গত ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে𝕴 অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

[106999]

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনꦯতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।