হাইকোর্টে জামিন পেলেন সাবেক ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
আদালত প্রাঙ্গণে প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণ। ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যুদণ্ডপ্রাꦫপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি স🍨ৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন আদালত𝄹ে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্💫লাহ আল মামুন।

মামলায় ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আপিল শুনানওির জন্য গ্রহণ করেছিল। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশ🎃েদ খান। এই হত্যা মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রদীপসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

এর মধ্যে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্তের 🦹পর টাকার অঙ্কে কিছু পরিবর্তন আনা হয়।

২০২১ সালের ২৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দি🔯ন অভিযোগপত্র দাখিল ক♛রেন। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার শুরু থেকে চুমকি কারণ পলাতক থাকলেও ২০২২ সালের ২৩ মে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ🌳 করেন। সেই থেকে কারাবন্দি চুমকি কারণ।

২০২২ সালের ২৭ জুলাই এ মামলা প্রদীপ কুমার দাশের ২০ বছর ও তার স্ত্র♛ী ꦺচুমকি কারণকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় চুমকিকে ১ বছর কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস কারাদণ্ড, ২৭ (১) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ৮ বছর কারাদণ্ড, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৪🍰 কোটি টাকা জরিমানা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ২ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাস কারাদণ্ড দেয় আদালত। প্রত্যেক কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে।

[106261]

পরে চুমকি হাইকোর্ট আপিল করেন। সেই আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে রোববার ত♛াকে জামিন দেন হাইকোর্ট।