খাদ্যপণ্যের দাম কোনোভাবেইꦚ নাগালের ๊মধ্যে থাকছে না। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। অথচ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার সঙ্গে মানুষের আয় বাড়ছে না। অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির ফলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে খাদ্য ও নিত্যপণ্য।
গত সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। তবে অক্টোবর মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্🐓ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। অর্থাৎ গেল ব𝓀ছরের অক্টোবরে যে খাদ্যপণ্যের দাম ছিল ১০০ টাকা, চলতি বছরের অক্টোবরে তা কিনতে লাগছে ১১২ টাকা ৬৬ পয়সা। ভোক্তাদের বাড়তি ১২ টাকা ৬৬ পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।
তবে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা লেগেছে নভেম্বরে এসেছে। অক্টোবরের অসহনীয় মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে এসে আরেক দফা বেড়ে যায়▨। মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়ে যায় ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি এতটা বেড়ে যাওয়া ভোক্তা পর্যায়ে অস্বাভাবিক এবং অসহনীয়।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ꦜও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে। এই হার বেড়ে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ হয়েছে। যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নভেম্বর মাসে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থা꧋লি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে।
অক্টোবরে খাদ্যপণ্যে মূল্য🍃স্ফীতিরে হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অথচ নভেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তথ্যমতে, আগের বছরের (২০২৩) আগস্টে এক যুগের রেকর্ড ভেঙে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বৃদ্ধির সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জুলাই মাসজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশে এক ধরনের অচলাবস্থা দেখা যায়। এসময় ঢাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সারা দেশের সঙ্গে। পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছিল। ফলে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্য♌ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছিল। যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি।