শীর্ষ ১২ আলেমের নামে মামলা

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক। ছবি : সংগৃহীত

মাওলানা সাদ কান্ধলভী সম্পর্কে অপমান ও কুৎসাজনক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকার🐲রমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল মালেকসহ ১২ আলেমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রোববার (১ ডিসেম্বর) মাওলানা সাদের অনুসারী মো. যুবায়ের হোসেন বাদী হয়ে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদ❀ালতে এ মামলার আবেদন করেন।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাদীর আইনজীবী খান মোহাম্মদ মোর্শেদ বিষয়ট𝔉ি নিশ্চিত করেছেন।

খান মোহাম্মদ মোর্শেদ বলেন, “আদালত আবেদন গ্𓃲রহণ করে আগামী ১৪ জানুয়ারি সর্বোচ্চ কোর্ট ফি দাখিলের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।”

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নান মুন্না, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা জুনাইদ෴ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরী, মাওলানাဣ নুরুল ইসলাম অলিপুরী, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, লোকমান মাজহারী ও মুফতি জাফর আহমেদ।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ নভেম্বর বিবাদীরাসহ অনেক আলেম শাহবাগ থানার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে সাধারণ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে বাদীর প্রাণপ্রিয় ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা সাদ কান্ধলভির সুনামহানিꦛর অপচেষ্টায় বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর, অপ🥂মানজনক ও কুৎসাজনক বক্তব্য প্রচার করেন। বিবাদী ছাড়াও অন্যরা কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই মনগড়া, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য দেন এই উদ্দেশ্যে যে, যেন মাওলানা সাদ কান্ধলভি একজন কাদিয়ানী বা তথাকথিত মুসলিম হিসেবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে প্রচার পান এবং মাওলানা সাদের অনুসারীদের বলা হয়, কাফের, জারজ সন্তান, মুর্তাদ; সাদের অনুসারী হওয়ায় তারা সবাই স্ত্রী থেকে তালাকপ্রাপ্ত। এই বিবাদীরা সর্বদা এহেন উদ্দেশ্যমূলক কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের কোমলমতি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এবং নিরীহ জনসাধারণকে ভুল বুঝিয়ে তাদের এহেন চক্রান্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে সারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার মাধ্যমে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

[105779]

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, বিবাদীদের এহেন অপতৎপরতায় দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ মানুষ তাদের এমন💧 চক্রান্ত ও হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। এরূপ মানহানিকর, কুরুচীপূর্ন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য পরের দিন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার পাওয়ায় সাদ অনুসারীরা অত্যন্ত মর্মাহত ও মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। বিবাদীদের উদ্দেশ্যমূলক কুরুচীপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকৃত পক্ষে তাদের মনগড়া ও ভিত্তিহীন এবং উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদকে দেশে ও বিদেশে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ সত্য ও ন্যায়ানুনাগ ইসলামী বিধি বিধান প্রচার প্রসারে বাধা দানের একটি অপকৌশল মাত্র।