পরকীয়া অতি পরিচিত একটি শব্দ। বিবাহি🌜ত জীবনে স্বামী বা স্ত্রীর অন্য কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রেমের সম্পর্কই পরকীয়া বলে পরিচিত। যেকোনো সময় যেকোনো বয়সেই পরকীয়া হতে পারে। বর্তমানে পরকীয়ার ঘটনা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের সহজলভ্যতায় যোগাযোগের ক্ষেত্র বেড়েছে। পরকীয়ার মাত্রাও বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিদিন টিভি, খবরের কাগজ খুললেই অহরহ পরকীয়ার ঘটনা দেখা যায়। সাধারণত একটা ধারণা রয়েছে, পরকীয়ার সম্পর্কে পুরুষরা বেশি আগ্রহী! কিন্তু সম্প্রতি সমীক্ষায় গবেষকরা দেখেছেন এর উল্টো চিত্র। সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়, পুরুষদের তুলনায় নারীরাই বেশি আগ্রহী থাকে পরকীয়া সম্পর্কে।
পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালায় কানাডার অনলাইন ডেটিং অ্যান্ড সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস অ্যাপ ‘অ্যাশলে ম্যাডিসন’। গবেষণা শেষে তারা 🧸প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। মিসৌরি স্টেট 🌱ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক অ্যালিসিয়া ওয়াকার ওই অনলাইন সংস্থার পক্ষ থেকে সমীক্ষাটি চালান।
সমীক্ষা বলছে, বিবাহিত যেসব নারী তাদের বিবাহিত জীবনে কম সুখী, তাদের অধিকাংশই পরকীয়া সম্পর্কে যুক্ত থাকেন। এই ধরনের সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রীর বোঝাপড়ার ঘাটতি একটি কারণ থাকে। এছাড়া শারীরিক চাহিদাও গুরুত্ব বহন ক♈রে।
সমীক্ষার ফলাফলে জানানো হয়েছে, মূলত বৈবাহিক জীবনের অসম্পূ🍒র্ণতা 🌃থেকেই নারী-পুরুষরা পরকীয়ার দিকে ঝোঁকেন। এর মধ্যে নারীরা এগিয়ে।
অধ্যাপক অ্যালিসিয়ার বলেন, “পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি পরকীয়ায় আগ্রহী হন। কারণ, প্রত্যেক সুস্থ স্বাভাবিক😼 নারীই সপ্তাহে দুইবার শারীরিক সম্পর্কের চাহিদা অনুভব করেন। এর ব্যতিক্রম হলেই, হিতে বিপরীত ঘটে।”
সূত্র: রেডিফ ডটকম