শিশুরা আরামপ্রিয়। গরমে শিশুদের অস্বস্তি বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, শরীরে র্যাশ হওয়াসহ নানা সমস্যা শুরু হয়। প꧟োশাকে পরিবর্তন আনলে শিশুরা এই সমস্যা থেকে কিছুটা স্বস্তি পায়। এর জন্য় গ্রীষ্মকাল শুরুর আগেই শিশুর প্রতিদিনের ব্যবহৃত পোশাক নতুন করে কিনতে হয়।
বাড়িতে থাকা আলমারির একাংশ পূর্ণ হয়ে থাকে শিশুর জামা কাপ🐟ড়ে। ঘরে বা বাইরে যেতে শিশুর জন্য় 🐠ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের আয়োজন থাকে। যার সবটাই আরামদায়ক পোশাক হতে হয়। শিশুদের নতুন জামা, জুতো কিনতে আগেই পরিকল্পনা করে রাখুন।
শিশু কী ধরনের পোশাক পরবে, এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে, তা জেনে রাখুন। তালিকা করে একটু গুছিয়ে নিন। শিশুর পোশাক কেনার বাজেট করতে সুবিধে হবে।
দেশের বড়-ছোট মার্কেটগুলোতে শিশুদের পোশাকের জন্য় আলাদা জোন থাকে। সেখানে যেকোনও বয়সী শিশুদের যাবতীয় সবকিছুই পাওয়া যায়।
সব শিশুর শারীরিক গড়ন ও অভ্যাস ভিন্ন। তাদের গড়ন অনুযায়ী মানানসই পোশাক কিনুন। যাদের ভারি পোশাক পরার অভ্যাস নেই তাদের জন্য হালকা পোশাকই নির্বাচন করুন।
দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোশাকের মানও যেন ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাপড় আরামদায়ক হতে হবে। গরমে সুতি কাপড় পরাতে পারেন। শিশুরা আরাম পাবে।
শিশুর জন্য় ঢিলেঢালা পোশাক কিনবেন। শিশুরা দ্রুত বেড়ে উঠে। ঢিলেঢালা পোশাক কিনলে শিশুরা বেশ কয়েকদিন ব্যবহার করতে পারবেন। জুতা কিনতেও একই বিষয় খেয়াল রাখুন।
একসঙ্গে অনেকগুলো পোশাক কিনবেন না। কারণ শিশুদের শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পোশাকগুলোর আনফিট হয়ে যায়। তাই ঠিক যে কটা প্রয়োজন তাই কিনুন।
ভালো মানের দিকে খেয়াল রাখুন। দামের দিকে নয়। বেশি দামী হলেই যে পোশাকের মান ভালো হবে তা নয়। তাই যাচাই করে কিনুন।
বেশি ডিজাইন করা পোশাক না কেনাই ভালো। ডিজাইন করা পোশাক সব শিশু ক্যারি করতে পারে না। বরং এটা পরে অস্বস্তিতে থাকবে। এমনকি ভারী ডিজাইন করা পোশাক বাইরে গেলে শিশুরা ঘ্যান ঘ্যান করবে। আপনি বিরক্ত হবেন।