সন্তানকে ঘরের কাজ কীভাবে শেখাবেন?

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২২, ০৬:২৪ পিএম

শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সব শেখানো হয়। কীভাবে কথা বলবে, কীভাবে সবার সঙ্গে মিশবে,  লেখাপড়া শুরুর প্রাথমিক ধাপও শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই। এছাড়া আরও ছোট ছোট কাজ শেখানো হয় শিশুদের। এসব🌳 কর্মকাণ্ড শিশুদের ব্যস্ত রাখে। তখন শিশুরা দুষ্টুমিও কম করে। শেখানোর 🤡এই ধাপটা আরও একটু এগিয়ে নিতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের ঘরের বিভিন্ন কাজে উত্সাহী করে তুলতে পারেন। এতে শিশুর আচরণ ও অভ্যাসে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ছোটবেলা থেকে ঘরের বিভিন্ন কাজে শিশুদের অংশগ্রহণকে🅰 উত🍷্সাহ দিন। এতে শিশুরা নিজের কাজ নিজে করার এবং সেই সঙ্গে সাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে। তাদের সময়ও ভালো কাটবে। পরিবারের সঙ্গে বন্ধনও দৃঢ় হবে।

ভাবছেন, সন্তান তো নিজের হাতে খেতেই চায় না। সে কীভাবে ঘরের কাজ করবে বা তাকে কীভাবে ঘরের কাজ শেখাবেন! সবই সম্ভব হবে। ধীরে ধীরে সন্তানকে গড়ে তুলতে হবে এসব কাজের জন্য। তখন দেখবেন, সন্তান ঠিকই সব পারছে 🔴এবং উপভোগও করছে। সন্তানকে ঘরের কাজে উত্সাহী করে তোলার কিছু কৌশল জেনে নিন এই আয়োজনে।

  • বয়স কম থাকতেই সন্তানকে বিভিন্ন কাজ শিখিয়ে নিন। নিজের বিছানা গুছিয়ে নেওয়া, খেলার সামগ্রী গুছিয়ে রাখা, পড়া শেষ করে টেবিল গোছানো এসব কাজ সন্তানকে শিখিয়ে দিন। ঘরের এই কাজগুলো তার দায়িত্ব তা বুঝিয়ে দিন। 
  • ঘরের যে কাজের দায়িত্ব সন্তানকে দিচ্ছেন, তা করতে পারলে প্রশংসা করুন। কাজের প্রশংসা পেলে সন্তান আরও উত্সাহী হয়ে উঠবে।
  • সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন, এই বাড়ি আর এই ঘরটা তারও। তাই এটি গুছিয়ে পরিস্কার রাখার দায়িত্ব তারও রয়েছে। 
  • সন্তান প্রথমে কাজে অনিহা দেখাবে। তবুও তাকে জোর করা যাবে না। বকাও দেওয়া যাবে না। বরং বুঝিয়ে বললে, একদিন সে নিজেই কাজ শুরু করবে।
  • ছোট ছোট কাজের দায়িত্ব দিন। কাজটি কীভাবে করতে হবে তা দেখিয়ে দিন। ধীরে ধীরে তারও আগ্রহ হবে।
  • ২ থেকে ৩ বছর বয়সী সন্তানকে খেলার পরে খেলনা গুছিয়ে রাখার শেখান। খেলার ছলেই শিখিয়ে নিতে পারেন। খেলনা গুছিয়ে রাখাও খেলার অংশ এটি শেখান। মজা নিয়েই আপনার সন্তান কাজটি করবে।
  • সন্তানকে খাওয়ার পর নিজের প্লেটটি রেখে আসতে শেখান। টেবিলে পানি পরলে তা টিস্যু দিয়ে  মুছে নিতে হয় কীভাবে তা শেখান। এতে শিশু গুছিয়ে খেতেও শিখবে।
  • ৬ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের নিজের বিছানা এবং বইপত্র কীভাবে গুছিয়ে নিতে হয় শিখিয়ে নিন। জামাকাপড় সাজিয়ে রাখাও শেখাতে পারেন। এতে নিজের জামা নিজেই খুঁজে নিতে পারবে এবং গুছিয়ে নিতে পারবে। 
  • পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাজ করলে আনন্দ পাওয়া যায়। এই উপলব্ধিটা শিশুকে দিন। ঘর পরিস্কার রাখা, বাগানের পরিচর্যা এসব কাজ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে করুন। এতে শিশু একসঙ্গে কাজ করা ও সহযোগিতার মূল্য জানবে।
  • কোথাও বেড়াতে যাবেন, কোনও কাজ করবেন সেই পরিকল্পনা সন্তানকে নিয়েই করুন। সন্তানের  ব্যাগও তাকেই গুছাতে দিন। এতে পুরো বিষয়টাকে আপনার সন্তান উপভোগ করবে।
  • বড় সন্তানদেরকে ছোট ভাইবোনের দায়িত্ব দিন। ছোট ভাইবোনের দেখভাল করার জন্য় কী কী করা যাবে তা বড় সন্তানকে নিয়ে পরিকল্পনা করুন। দেখবেন আপনার সন্তান দায়িত্বশীল হয়ে উঠছে।