কোরবানির ঈদ, মানে সারাদিনের ব্যস্ততা। পশুর মাংস কাটা, রান্না, বিলি করা কত কাজের ঝামেলা। সব ঝামেলাই যায় হাতের উপর দিয়ে। কোরবানি দিতে গিয়ে কিংবা বিলি করতে গিয়ে হাতে রক্ত মেখে যায়। রান্নার সময় সারাক্ষণ পানিতে হাত ধুয়ে হাত 𝔍রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে এমন কম-বেশি ধকল যায় হাতের উপর দিয়েই। তাই কোরবানির ঝক্কি-ঝামেলার পর হাতের যত্ন নিতে হবে পুরোপুরিভাবে। চলুন জেনে নেই কোরবানির কাজের ঝামেলার পর সুন্দর হাত ফিরে পেতে কী কী করতে হবে_
সারাদিন মাংস পরিষ্কার করা নিয়েই বেশি ঝামেলা থাকে। এই সময় হাতেরও দুর্গন্ধ হয়ে যায়। হালকা কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ লবণ গুলিয়ে হাত ভিজিয়ে রাখুন। দুর্গন্ধ কমে যাবে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও কমবে।
এই সময় বার বার হাত ধোয়া হয়। তাই হাত রুক্ষ হয়ে যায়। এই অবস্থায় হাতের ত্বকে মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অলিভ অয়েল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষারযুক্ত সাবানের পরিবর্তে লিকুইড সোপ ব্যবহার করুন। হাতের রুক্ষতা কমবে।
হাতে ও নখে হলদে ভাব হয়ে যায়। জ্বালাপোড়াও হয়। তাই ২ চা-চামচ বেকিং সোডা, ২ টেবিল চামচ ভিনেগারের সঙ্গে ২ চা-চামচ শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে নখে হালকা ব্রাশ করে নিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটি হাতের দাগও কমাবে। এরপর অলিভ অয়েল বা লোশন মেখে নিন।
হাতের যত্নে আধা কাপ চালের গুঁড়া, এক চামচ বেসন, আধা চামচ কাঁচা হলুদের রস , লেবুর রস ও গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে নিতে হবে। হালকা কুসুম গরম পানিতে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিলেই রুক্ষতা দূর করে।
অনেকেরই অতিরিক্ত পানির কাজ করলে ফাংগাল ইনফেকশন হয়। প্রাকৃতিকভাবে ফাংগাল ইনফেকশন দূর করতে ৩ লিটার পানিতে ১০ কাপ নিমপাতা, ৪ কাপ পুদিনাপাতা, ৪ কাপ তুলসীপাতা জ্বাল দিয়ে নিন। সেই পানি কুসুম গরম থাকা অবস্থায় হাত ডুবিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর নেইল ব্রাশ দিয়ে পুরো হাত ব্রাশ করে নিন। এরপর হাত ধুয়ে মশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ফাংগাল ইনফেকশন থাকলে সাবান ব্যবহার করবেন না।
ঠান্ডা ময়েশ্চারাইজার বানিয়েও নিতে পারেন। আধা কাপ সরিষার তেল ও আধা কাপ পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এটি ফ্রিজে রেখে দিন। রান্নাঘরের কাজ শেষে এই মিশ্রণটি হাতে মেখে নিন। নিমিষেই কমে যাবে জ্বালাভাব।
হাতের কোমলীয়তা ফেরাতে চিনি, মধু ও সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে হাতের ত্বকে লাগান। দ্রুত হাতের কোমলীয়তা ফিরবে।
ঈদের পর পার্লার খুলে গেলে সেখানে গিয়েও হাতের পরিচর্যা করিয়ে নিতে পারেন। নিজের যত্নে অনেকেরই আলসেমি হয়। তাদের জন্য পার্লারে যাওয়াই হতে পারে সমাধান।