আদর-যত্নে বড় করতে হয় শিশুদের। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকে লালন-পালনে অনেক বেশি যত্নশীল হতে হয় বাবা-মাকে। যত বড় হবে, সন্তানের আবদার বাড়তে থাকবে। ছোট ছোট বিষয়ে মর্জি করবে। যে কোনও কিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚছু চাওয়া মাত্র না পেলে রাগ দেখাবে। এমনকি চিত্কার শুরু করবে। বাবা-মাও তখন সন্তানের আচরণে বিরক্ত হোন এবং শাসন শুরু করেন। কেউ জোরে ধমক দিয়ে সন্তানকে থামানো চেষ্টা করেন। কেউ আবার বিরক্ত হয়ে সꦫন্তানের আবদার পূরণ করে দেন। এভাবেই সন্তানের চাওয়া-পাওয়া ও আবদার পূরণ করতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তেই নতুন অভিজ্ঞতা হয় বাবা-মায়ের।
শিশুরা তো শিশুই। তারা যাꦜ শিখবে তাই করবে। তাই তাদের লালন-পালনে আবেগ পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও শেখাতে হয়। চেঁচামেচি করা ক্ষতিকর, এই উপলব্ধিটাও সন্তানকে দিতে হবে। তবেই তো সন্তান চিৎকার না করে নিজেকে সামলাতে সক্ষম হবে। সন্তানের সঙ্গে চিৎকার না করে বরং তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণের প্রౠশিক্ষণ দিন কিছু উপায়ে।
সন্তানকে আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানোর আগে নিজের সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। শিশুরা বাবা-মাকে যা করতে দেখবে তাই শিখবে। আ♚পনিও আগে অনুশীলন করুন। অযথা রাগারাগি, চিৎকার-চেচামেচি করবেন না। এটি সন্তানকে ভালো অভ্যাসের শিক্ষা দেবে।
সন্তানের আবেগ এবং তাদের প্রতিক্রিয়ার দিকে মনোযোগ দিন। সন্তানদের আবেগের সঙ্গে আচরণগত নিদর্শনগুলো খেয়꧃াল করুন। তাদের সেই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করুন।
সন্তানকে যেকোনও বিষয় শেখানোর জন্য় উপযুক্ত সময় বেছে নিন। এক্ষেত্রে সন্তানের যখন মন খারাপ থাকবে কিংবা সন্তান রেগে থাকবে তꦇখনই তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন। তার যে বিষয়টি নিয়ে আপনার রাগ হয়, তাকেও সেই বিষয়টি ধরিয়ে দিন। বুঝিয়ে বলুন যে এই কারণেই আপনারও রাগ হয় কিন্তু আপনি তা সংযত করেন। সন্তানও আপনার মতো রাগ সংযত করা 🃏শিখবে।
স🌺ন্তানের মন খারাপ হলে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন। এই সময়ই সন্তানের সঙ্গে বন্ধন শক্ত করার ভালো সুযোগ পাবেন। সন্তানকে শক্ত করে আলিঙ্গন করুন এবং তার কথাগুলো শুনুন। আপনার ইতিবাচক অনুভূতিগুলো সন্তানকে শান্ত করবে।
সন্তানকে আবেগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে শেখানোর একটি দুর্দান্ত উপায় হল তাদের লেবেল জেনে নেওয়া। সন্তানের সঙ্গে সিনেমা দেখছ🧔েন, জনসমক্ষে বা একা থাকলে আপনি এটি চেষ্টা🌱 করে দেখতে পারেন। তাকে বলতে পারেন, সেই ছোট ছেলেটিকে খুব চাপের মধ্যে দেখাচ্ছে বা সেই ছোট্ট মেয়েটিকে খুব উত্তেজিত মনে হচ্ছে। এতে আপনার সন্তানের আবেগ সহজেই নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে।
সন্তানকে জানান, কোন আবেগের সময় কোন ধরণের প্রতিক্রিয়া করতে হবে। তাদের সঙ্গে বসুন। কেমন প্রতিক্রিয়া করতে হবে তা শেখান। ভালো পরামর্শ দিন ಌএবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে কী কী করা যায় তা একসঙ্গে পরিকল্পনা কর🐻ুন।
সন্তানের আচরণগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। তারা চিৎকার দিলে কিংবা জিনিস ছুড়ে মারলে এবং উত্তেজিত হয়ে পড়লে সেই আচরণগুলোকে সংযত করার চেষ্টা ক♉রুন। রাগারাগি করা বোকামি হবে। বরং তাদের উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
সন্তানের মন খারাপ হলে কিংবা কান্নাকাটি করলে তখনই কিছু বলবেন না। বরং সময় দিন। তাদের কান্নাকাটি শেষ হলে কথা বলার চেষ্টা করু✨༒ন। তারা শান্ত হয়ে যাবে।
সন্তান বিরক্ত হচ্ছে বা কান্না পাচ্ছে-👍 এমন অনুভূতি প্রকাশের জন্য কিছু শব্দ ব্যবহার করতে বলুন। যেমন কোনো শব্দ বা কথায় সন্তান তার অনুভূতি প্রকাশ করꦚতে পারবে যা শুধু আপনি বুঝে নিতে পারবেন। তখন সন্তানকে শান্ত করা সহজ হবে।
সন্তানের মেজাজ ভালো রাখতে তাকে সংবেদনশীল খেলা𒁃গুলোর সঙ্গে যুক্ত করুন। যেমন গ্লিটার এবং আঠা দিয়ে বসিয়ে দিন। কিংবা সন্তানের পছন্দের কোনও খেলা দিয়ে তাকে ব্যস্ত করে তুলুন। তারা নিজেদের শান্ত করতে পারবে।
ঘরের একটি অংশ এমনভাবে সাজিয়ে নিন, যেন সেখানে গেলেই মেজাজ ভালো হয়ে যায়। রেডিও, পোস্টার বা খেলনা দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন সেই অংশটি। সন্তানকে সেখানে নি♌লেই মন ভালো হয়ে যাবে।
সূত্র: অ্যাওয়ারনেস অ্যাক্ট