বাবা, পরিবারের বটবৃক্ষ। পুরো পরিবারকে যিনি ছায়ার নিচে যত্নে রাখেন, আগলে🎐 রাখেন। পরিবারের পূর্ণতা দেন। পূরণ করেন সন্তানের সব চাওয়া-পাওয়া।
সন্তান মায়ের গর্ভে থাকে দীর্ঘ নয় মাস। সেই সময়টা বাবার জন্য থাকে বেশ উপভোগ্য। মায়ের গর্ভে সন্তানের প্রথম সাড়া দেওয়া, সন্তানের অনুভূতিকে বোঝার আপ্রাণ চেষ্টা থাকে বাবার মধ্যেও। অ🅷নাগত সন্তানকে সুস্থভাবে জন্ম দেওয়ার লড়াইটা করেন বাবা-মা দুজনই। মা গর্ভে ধারণ করেন, আর বাবা হবু মা-সন্তানকে নিরাপত্তার চাদরে আগলে রাখেন।
সন্তান জন্মের আনন্দে আত্মহ𒊎ারা বাবা। শিশুর কচি হাতটি যখন বাবার হাতটি আঁকড়ে ধরে উঠে আসে তাদের অটুট সম্পর্কের চিত্র। শুরু হয় সন্তানের চাওয়া-পাওয়া পূরণের সর্বাত্মক চেষ্টা। নিজের কষ্ট চেপে গিয়ে সন্তানের ষোলআনা পূরণ করেন। হাঁটিহাঁটি পা পা করে ছোট্ট শিশুকে হাঁটতে শেখানো, কাজ থেকে ফিরে প্রিয় সন্তানকে গল্প ꦍশোনানো, খাওয়ানো, বুকে নিয়ে ঘুম পারানো এমন হাজারো ব্যস্ততায় কেটে যায় বাবার মুহূর্তগুলো।
প্রিয় সন্তানের প্রতি বাবার দায়িত্ববোধ যেন কখনওই কমে না। সন্তানের ভবিষ্যত্ নির্ধারণে শুরু হয় আরেক লড়াই। ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ানো, প্রতিযোগিতায় সন্তান কীভাবে এগিয়ে থাকবܫে তা নিয়ে হাজারো চিন্তা বাসা বাধে বাবার মনে। সবকিছুই সামলে নেন নিজের সামর্থ্যের গন্ডিতে। নিশ্চয়তা দেন সন্তানকে। ভরসার দেন, ‘তুমি পারবে, এগিয়ে যাও।‘ শক্ত হাতে সন্তানকে সামনের পথে এগিয়ে দেন। আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলেন নিজের প্রিয় সন্তানকে।
এখানেই শেষ নয়, সন্তানের নতুন জীবনের স্পৃহা জোগ🍨াতেও বাবা থাকেন এগিয়ে। সন্তানের সুখী আর গোছানো সংসার যেন বাবা-মার দায়িত্বের বড় এক অংশ। প্রিয় সন্তানের বিয়ে, সুখী সংসারের চিত্র দেখে যেন বাবার মনও প্রশান্তি পায়। সেই দায়িত্বেও থাকে না কোনও অবহেলা। মেয়েকে উপযুক্ত পাত্রের হাতে তুলে দেওয়া আর ছেলের জন্য় উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচনেরও বাবার থাকে আপ্রাণ চেষ্টা।
সন্তানের মাথার ওপর বাবা বটবৃক্ষের ছায়ার মতো। যার স্নেহ, আদর অবারিত ধারায় শুধু ঝরতেই থাকে। আদর-শাসনে সারাজীবন আগলে রাখেন বাবা। সন্তানের ভবিষ্যত্ গড়তে, সন্ত🍸ানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করেন বাবা। পৃথিবীর সব বাবার সেই আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বাবা দিবস।
প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস পালিত হয়। সেই অনুযায়ী এই বছর ১৯ জুন পাল🍰িত হচ্ছে বিশ্ব বাবা দিবস। বাবাদের নিশ্বার্থ অবদান আর আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে এবং বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেই দিনটিকে উত্সর্গ করা হয়। বিশেষ এই দিনটিতে পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি থাকলো অগাধ ভালোবাসা।