২৮ মে শনিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব🌳 নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষাই এর মূল উদ্দেশ্য থাকলেও এখন নবাগত শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুস্থ শিশু জন্মের জন্য় সুস্থ মা দরকার। তাই তো এই বছরের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে, ‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হবে যেতে।‘
গর্ভকালীন মায়ের স্বাস্থ্যের জটিলতা দূর করা, সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং নবজাতক শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতেই পালিত হয় দিবসটি। গর্ভাবস্থা একটি নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত। দীর্ঘ ৯ মাস গর্ভে সন্তানকে ধারণ করেন নারীরা। প্রতি💧টি মুহূর্তের অনুভূতিগুলোও ভিন্ন হয়। গর্ভকালীন সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করে মা। যা তার জীবনের অন্য স🀅ময়ের মধ্যে সেরা সময়।
গর্ভকালীন মায়ের শারীরিক-মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। গুচ্ছ মানসিক ও শ෴ারীরবৃত্তীয় চাপ তৈরি হয়। মুড সুইং, অস্থিরতা বেড়ে যায়। তবে সন্তানের সুস্থতার খবরে সব জটিলতাই স্বাভাবিক হয়ে যায় তার কাছে।
দীর্ঘ ৯ মাসের এই সময়টাতে গর্ভবতী মায়ের বিশেষ যত্ন প্রয়ো𒈔জন। প্রয়োজনীয় যত্ন, খাদ্য এবং পুষ্টি নিয়ে সজাগ থাকা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেতে হবে, কীভাবে চলতে হবে, কীভাবে গর্ভাবস্থায় মা প্রয়োজনীয় পুষ্💜টি পাবে, মায়ের মানসিক প্রশান্তি কীভাবে হবে—সব বিষয়ে সজাগ থাকতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভবতী মায়ের প্র𓆏তিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ অতিরিক্ত ক্যালরির প্রয়োজন হয়। এর সঙ্গে ১ হাজার ২০০ মিলিগ্রামের ক্যালসিয়াম, ৬০০ থেকে ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট এবং ৭০০ মিলিগ্রামের লোহারও প্রয়োজন হয়।
খাদ্যাভ্যাস
দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের মধ্যেই এই পুষ্টির জোগান পেতে পারে মা। এর জন্য খাদ্য নির্বাচন🦄ে সচেতন হতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, মৌসুমি ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।
সচেতনতা
বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভকালীন সময়ে নারীর প্রথম তিন মাস ও শেষের তিন মাসে জটিলতা বাড়ে। তাই এই সময় অতিরিক্ত পরিশ্রম না করাই উত্তম। এই সময় হালকা হাঁটাচলা করতে হবে। ভারী জিনিস বহন করা যাবে না। চলাফেরায় সতর্ক থাকতে হবে। স্যাঁতসেঁতে স্থানে হাঁটা বা সিঁড়ꦐি বেয়ে ওঠা-নামার সময় বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
বিশ্রাম
গর্ভবতী নারীর বিশ্রামের 𓆉দিকেও খেয়াল রাখতে হব। দিনে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা ঘুম বা বিশ্রাম নিতে হবে। আর রাতে পর্যাপ্ত🦂 ঘুম কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুমানো বা বিশ্রামের সময় অবশ্যই বাঁ-কাত হয়েই শুতে হবে।
ভ্রমণ
বিশেষজ্ঞরাꦑ আরও জানান, গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস ও শেষ তিন মাস দূর কোথাও ভ্রমণে যাওয়া মায়ের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষ করে উঁচু-নিচু পথে না যাওয়াই ভালো। তাছাড়া ঝাꦡঁকি লাগবে, এমন রাস্তাগুলো এড়িয়ে যেতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্যের দেখভাল
গর্ভাবস্থা꧒য় মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে বলে সর্বদা হাসিখুশি থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। সকালে ও বিকেলে স্বাস্থ্যকর ও মনোরম পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো যেতে পারে। শরীর সুস্থ থাকবে এবং মনও ভালো থাকবে। খোলা প👍রিবেশে ঘুরে বেড়াতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলোও নজরে রাখতে হবে।
হরমোনের পরিবর্তন
গর্ভকালীন নারীদের হরমোনের পরিবর্তন হয়। তবে অতিরিক্ত আবেগ, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ভয় বেড়ে যায়। এসব নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে মায়ের স্বাস্থ্যের জন♓্য ক্ষতিক🍰র হয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পানিশূন্যতা
গর্ভকালীন মায়ের শরীরে পানিশূন্যতা বেড়ে যায়। তাই সাধার🀅ণ সময়ের তুলনায় অধিক পানি পান করতে হবে।
বয়স
নারীদের বয়সের ওপরও গর্ভকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কম বয়সে গর্ভধারণ করা কিংবা বেশি বয়স🦋ে গর্ভধারণ দুটোই জটিলতার কারণ হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত গর্ভধারণও জটিলতা সৃষ্টি করে। যেকꦓোনো মায়ের উচিত গর্ভধারণের আগে এবং পরে উপযুক্ত পরামর্শ নেওয়া। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে শারীরিক জটিলতার বিষয়গুলো আলোচনা করে নেওয়া।
পরিবারের যত্ন
গর্ভধারণের পর নারীরা বড় সহযোগিতা পেতে পারে পরিবার থেকে। পরিবারের সদস্যদের উচিত গর্ভবতী নারীর যত্ন নেওয়া ও প্রসবের জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা রাখ💙া। মনে রাখবেন, সুস্থ মা সুস্থ সন্তান জন্মের পূর্বশর্ত।