পরিবারে শিশুদের বেড়ে ওঠা নিয়ে বাবা-মা অধিক চিন্তিত থাকেন। পরিবারে সব শিশুর স্বভাব একই রকম থাকে না। একই পরিবারে বড় সন্তান খুব চটপটে অন্যদিকে ছোট সন্তানটি হয় চুপচাপ। পর🤪িবারে এই গুটিসুটি হয়ে থাকা সন্তানটি সঠিক আদর-যত্ন পেলেও, বাইরে কিন্তু রূপ হয় ভিন্ন। এধরনের শি❀শুদের একটা বড় অংশ স্কুল বা বন্ধু মহলে নানা ভাবে উত্যক্তের শিকার হয়।
শুধু স্কুলেই নয়, খেলার মাঠ বা গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েও সহপাঠী, খেলার সঙ্গীদের কাছে হেনস্থা হতে হয় অনেককে। এই ধরনের উৎপীড়নকে বাচ্চাদের খেলা বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলায় এ 🙈ধরনের হেনস্থার শিকার হওয়ার কারণে শিশুদের বুদ্ধি ও মনোবৃত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।🐼 সেক্ষেত্রে পরিবারকেই পালন করতে হবে কিছু দায়িত্ব। শিশুতে নিজের দায়িত্ব নিতে শিক্ষা দিতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সন্তান বন্ধুদের নিগ্রহের শিকার হলে যা করবেন-
সন্তানকে উজ্জীবিত করুন
শিশুকে সবকিছুতে উৎসাহ 💧দিনে। প্রথমেই শিশুর সাহস জোগান। সাহস দিয়ে বলুন যে আপনি সব সময়ে তার পাশে আছেন। তা ছাড়া, শুধু নিজের সম্মান রক্ষা নয়, অন্যের সম্মান রক্ষা করার শিক্ষাও দিতে হবে ছোটবেলা থেকেই।
শিশুর আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন
অনেক ক্ষেত্রেই শিশুর আত্মবিশ্বাসের অভাবকে কাজে লাগিয়ে হ💫েনস্থা করে সহপাঠীরা। কাজেই শিশুর ভেতরে আত্মবিশ্বাসের জন্ম দ𒆙িন ছোট থেকেই। তাকে বাড়ির ছোট-খাটো কাজের দায়িত্ব দিন। এতে করে নিজের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস জন্মাবে।
সন্তানকে প্রতিবাদ করতে শেখান
নিগ্রহ কীভাবে আটকাতে হবে, তা স্বাভাবিক ভাবেই জানে না আপনার শিশু। তাই হয়তো ঠিক মতো প্রতিবাদ করে উঠতে পারে না। প্রথমেই তাকে শেখাতে হবে, এই♎ নিগ্রহ বন্ধ করতে হলে কী কী করা যেতে পারে। অনেক সময়ে স্পষ্ট কথায় প্রতিবাদ করলেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে নিগ্রহ। তবে প্রতিবাদের ভাষা হবে পরিশীলিত।
সন্তানের মনের কথা শোনা
ছোটরা অনেক সময়েই সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না। ফলে উৎপীড়নের ঘটনা জানতে পারেন না বাবা-মা। নির্যাতনের ঘটনাগুলি দিনের পর দিন চাপা পড়ে থাকলে শিশুমনে দীর্ঘমেয়াদী চাপ হতে পারে। নিয়মিত সন্তানের দৈনন্দিন কার্যকলাপের খোঁজ নিন। সন্তান ভ✤য়ে চুপ থাকলে, তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর নিন।
উৎপীড়নের সম্মুখীন হতে শিক্ষা দিন
সন্তান বাস্তবে উৎপীড়নের সম্মুখীন হলে ভয়ে গুটিয়ে যায়। এই সমস্যার মোকাবিলায় খেলাচ্ছলে বাস্তব পরিস্থিতির অনুশীলন করুন সন্তানের সঙ্গে। এর ফলে সন্তান বাস্তব পরিস𓂃্থিতিতে দমে যাবে না। তবে সব সমস্যার সমাধান এ ভাবে হয়ও না। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের।