সৌন্দর্যের বিষয়ে সবাই এখন সচেতন। নারীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরুষরাও সৌন্দর্য সচেতন হয়েছে। নিয়মিত ফেসিয়াল, পেডিকিউর, মেনিকিউর,ফেস মাস্ক ব্যবহার করা কোনোটাই থেমে থাকছে না। নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা পার্লারেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখন। রূপচর্চায় অন্যতম একটি হচ্ছে ব্লিচ করা। সাধারণত মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতেই ব্লিচ করা হয়। নারী-পুরুষ উভয়ই ব্লিচ পছন্দ করেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্লিচ করেও নিচ্ছেন। তবে অনেকের ধারণা, ব্লিচ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়। আসলে, যেকোনো রূপচর্চাত𝓡েই কিছু নিয়ম ও সতর্কতা মেনে চলতে হয়। সঠিক পদ্ধতিতে করা এবং সঠিক নিয়মে চলার ওপর নির্ভর করছে এটি আপনার ত্বককে কতটা আকর্ষণীয় রাখবে।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানান, ব্লিচ 💯করার পর ৫টি কাজ ত্বকের জন্য় ক্ষতিকর হতে পারে। এসব কাজ এড়িয়ে যেতে হবে। তবেই ব্লিচ করা ত্বকের ইফেক্ট ভাল🌳ো হবে। ব্লিচের ভালো প্রভাব ও ত্বকের সুস্থতায় যে বিষয়ে যত্ন নিতে হবে, চলুন তা জেনে নিই আজকের আয়োজনে।
ব্লিচ করার পর ত্বক অনেকটাই সেনসিটিভ হয়ে যায়। তাই ব্লিচ করে একদমই রোদে বের হবেন না। এই সময় রোদের ক্ষতিকর র🐠শ্মিতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। বাইরে বের🧸 হওয়া খুব প্রয়োজন হলে ছাতা ব্যবহার করুন। সরাসরি রোদে কখনোই থাকবেন না।
মুখের স্পর্শকাতর জায়গায় ব্লিচ করবেন না। চোখ, ঠোঁট এবং নাকের পাশের জায়গাগুলো স্পর্শকাতর হয়। এসব জায়গা♔য় ব্লিচ করা এড়িয়ে চলুন। নয়তো ত্বকে ব়্যাশ হতে পারে।
ব্লিচ করার পর ত্বকের সেনসিটিভির কারণে ভ্রু প্লাগ বা থ্রেডিং করাবেন না। ত্বক সংবেদনশীল হলে জ্বাল💃াভাব হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ত্বক ফুলে যেতে পারে। থ্রেডিং বা ভ্রু প্লাগ ব্লিচ করার আগেই করে নিন।
ব্লিচ করার পরপরই মুখে ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। ত্বকের সংবেদনশীলতায় ফেসওয়াশ ব্যবহারে জ্বালাভাব বাড়বে। অন্তত ব্﷽লিচ করার ৮ဣ ঘণ্টা পর ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। অবশ্যই ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নেবেন।
ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেমন খারাপ তেমনই ফেস স্ক্রাব ব্যবহারও ক্ষতিকর হতে পারে। স্ক্রাবে দানাভাব থাকে। ব্লিচ করার পর ত্বকে স্ক্রাব করলে ফুসকুড়ি বা লালচে ভাব হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ব্লিচ করার পর ৩ 🌼দিন অপেক্ষা করুন। ৩ দিন পর ত্বক স্ক্রাব করে নিতে পারেন।
ব্লিচ করার পর ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে অনেকেই ফেসপ্যাক লাগান। এ ক্ষেত্রে ফেসপ্যাকের উপকরণগুলো বাছাইয়ের আগে দেখে নিন। ঠান্ডা উপকরণ দিয়ে ফেসপ্যাক বানান। নয়তো জ্বালাভাব আরও বেড়ে যাবে। কোনোভাবেই লেবু বা ভিনেগারের মতো উ🦹পকরণ ফেসপ্যাকে ব্যবহার করবেন না। সবচেয়ে ভালো আইস কিউব দিয়ে ত্বকের জ্বালাভাব কমিয়ে নেবেন।