দিন দিন আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। শীত শেষ হয়ে বইছে বসন্তের বাতাস। কিছুদিন পরই গরমকাল শুরু হবে। এই সময় ত্বক🌊ের রুক্ষতা, শুষ্কতা দেখা যায়। ত্বক হয়ে উঠে খসখসে। বাতাসের ধুলাবালি বেশি থাকায় ত্বকও ময়লা হয় বেশি। তাই এই সময় ত্বকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। ত্বক পরিস্কার থেকে শুরু করে কোমলতা ঠিক রাখার জন্য় বাড়তি যত্ন নিতে হয়। সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও ত্বকের যত্নের জন্য় সমযটা বের করে নিন। এতে ঋতু পরিবর্তনের সময়ও ত্বকের লাবণ্যতা ঠিক থাকবে।
ঋত🐷ু পরিবর্তনের সময় শরীরের সব অঙ্গের ত্বকের যত্ন যেভাবে নেবেন তা জানাব আজকের এই আয়োজন🐼_
ত্বককে পরিস্কার রাখা প্রথম যত্ন। ত্বকে গভীরে ময়লা জমল🍨েই বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয়। ভালো ক্লিনজিং দিয়ে ত্বকের ময়লা পরিস্কার করে নিতে পারেন। এছাড়াও ঘরে কফি গুড়ার পেস্ট বানিয়ে মুখের ত্বক স্ক্রাব করে নিতে পারেন। এতে ময়লা দূর হবে এবং উজ্জ্বলতাও বাড়বে। নিয়মিত ক্লিনজিং দিয়ে মুখ ধুবেন। তবে সপ্তাহে একবারের বেশি স্ক্রাবিং করবেন না।
মুখ, ঘাড় ও গলার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগান। অ্যাল💯োভেরা জেল দিয়ে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে নিতে পারেন। বাজারের কেনা ময়েশ্চারাইজার ক্রিমও লাগাতেপারেন। তবে ত্বক খ🔯ুব খসখসে হলে আমন্ড অয়েল কিংবা নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
ত্বকে✅ নিয়মিত প্যাক লাগাতে পারছেন না? তবে সপ্তাহে অন্তত দুইবার ত্বকে প্যাক অবশ্যই লাগাবেন। এই মৌসুমে ত্বকের যত্নে প্যাক ব্যবহার করতেই হবে। ঘরে প্রাকৃতিক প্যাক বানিয়ে নিন। একটি বিট থেকে রস বের করে চালের গুড়ো মিশিয়ে মুখ লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। ত্বকে এটি জাদুর মতো কাজ করবে। ত্বক অনেক বেশি নরম হবে।
যাদের ঘাড় ও গলার ত্বক মুখের ত্বকের চেয়ে একটু♓ গাঢ় রঙের হয় তারা সপ্তাহে দুই দিন একটি প্যাক লাগাতে পারেন। মসুর ডাল বেটে কাঁচা দুধের সঙ্গে পেস্ট করে ঘাড়ে ও গলার ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ম্যাসাজ করুন। দেখবেন ঘাড় ও গলার কালচে ভাব দূর হয়ে গেছে।
এই সময় হাত ও পায়ের যত্নও নিতে হবে। কারণ বাতাসের আদ্রতায় হাত ও পায়ের চামড়া ফেটে যায়, চামড়া ওঠে। চামড়া খসখসে হয় এবং দ্রুতই ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠে♏। এই অবস্থায় হাত ও পায়ের ত্বকের যত্ন নিন। নিয়মিত হাত ও পা ধোয়ার পর মশ্চারাইজার লাগান। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এছাড়াও সপ্তাহে অন্তত একদিন হালকা গরম෴ পানিতে শ্যাম্পু ও একটি লেবু টুকরো করে মিশিয়ে তাতে হাত ও পা ভিজিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট রেখে পরিষ্কার করে নিন। সেই সঙ্গে হাত ও পায়ের ত্বকে মুলতানি মাটি, গোলাপ জল, মধু, অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগান। সপ্তাহে অন্তত দুদিন গোসলের আধ ঘণ্টা আগে এটি লাগিয়ে নিন। এরপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্কতা দূর হবে। করবে।
হাত ও পায়ের সবচেয়ে বেশি শুষ্ক হয় কনুই কিংবা গোড়ালি। এগুলো ফেটে যায়। এই শুষ্কতা দূর করতে প্রতি রা𒆙তে ঘুমানোর আগে কনুইꩵ ও গোড়ালিতে ক্যাস্টর অয়েল মেখে ঘুমান। এক সপ্তাহের মধ্যেই ফাটা দূর হয়ে কোমলতা ফিরবে।
ঠোঁটের যত্নেও অবহেলা করা চলবে না। ভিটামিন ই যুক্ত লিপ বাম ঠোঁটে ব্যবহার করুন। এছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরের তেলটাও ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটের চামড়া ফেটে গেলে কখনোই টেনে তুলবেন না। বরং লেবুর রসের🃏 সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিন। ঠোঁটের ফাটা চামড়া উঠে যাবে। তবে ঠোঁট ফাটার আগেই রাতে ঘুমানোর সময় ঠোঁটে মধু কিংবা ঘি লাগিয়ে নিন। ঠো▨ঁট ফাটবেনা। গোলাপীভাবও ঠিক থাকবে।