একাত্তরে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্🦩বর স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় ঘোষিত হয়। লাখো বাঙালির রক্তের বিনিময়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে দানপিটে মুক্তিযোদ্ধারা। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বিজয় প্রাপ্তির ৫০ বছর পেরিয়ে গেল। এই বছর দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়♏ন্তী।
পাঠ্যবই, সিনেমা, গল্পের বই সবখানেই উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত ইতিহাস। এসব ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে জানছে প্রজন্ম থেকে প্রজ💃ন্ম। আপনার সন্তানকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। শোনাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেওয়া লাখো শহীদদের গল্প। শিশুর দেশপ্রেম জাগ্রত করতে, দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে বড় হতে স্বাধীনতা ইতিহাস তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরেও শিশুকে স্বাধীনতা উদযাপনের বিভিন্ন কাজে আগ্রহী করে তুলতে পারেন।
আপনার সন্তানও স্বাধীনতার সুবর্ꦑণজয়ন্তী উদযাপন করবে। স্বাধীনতা বিষয়ক আকর্ষণীয় কিছু কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারবে আপনার সন্তান। তবেই তো স্বাধীনতার গুরুত্ব 🍌বুঝবে তারা। সন্তানকে আপনি যেসব কাজে আগ্রহী করে তুলতে পারেন তা জানাব এই আয়োজনে_
পতাকা উত্তোলন
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশের প্রায় সবস্থানেই পতাকা উত্তোলন হয়। ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ, স্কুল এবং কলেজগুলোতে পতাক💎া উত্ꦓতোলন হয়। আপনার সন্তানকে নিয়ে এসব উদযাপনে অংশ নিতে পারেন। পতাকা দিয়ে ঘরও সাজাতে পারেন। বাড়ির বারান্দা বা ছাদে বড় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করুন এবং পুরো কাজটি সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই করুন।
জাতীয় সঙ্গীত
বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয় সংগীত আবৃত্তি করা হবে। সন্তানকে সেখানে অংশ নিতে উত্সাহিত 𝔍করুন।🥃 অবসর সময়ে আপনার সন্তানকে জাতীয় সঙ্গীত মুখস্ত করাতে সহযোগিতা করতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধের নাটক
স্ꦕকুল বা কলেজে বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের নাটক হয়। আপনার সন্তা⛎ন বয়সে বড় হলে সেই নাটকে অংশগ্রহণে উত্সাহিত করুন। দেশপ্রেমের অনুভূতি প্রদর্শনের জন্য বিখ্যাত কোনও ঘটনাকে সামনে রেখে নাটক বানাতে পারেন। বাচ্চাদের এই ধরনের কাজে উত্সাহিত করলে ইতিহাসের প্রতি ঘনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি হবে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য কী করেছেন তা উপলব্ধি করতে পারবে।
নাচ-গানের প্রতিযোগিতা
বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশপ্রেমিক গান ও নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারে আপনার সন্ত🌱ান। লাল-সবুজ পোশাক পরে অনুষ্ঠানে অংশ নিলে সন্তানের মনেও স্বাধীনতার চেতনা উব্ধুদ্ধ হবে। প্রি-স্কুল ♋বাচ্চাদের জন্য এটি হতে পারে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিজয় দিবস উদযাপন। এইভাবে তারা স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্বও জানবে।
বিজয় দিবসের থিম পার্টি
বিজয় দিবসের থিম পার্টিতে আপনার সন্তান অংশ নিতে পারে। এটি দুর্দান্ত একটি ধারণা। বাচ্চারা লাল-সবুজ পোশাকে থিম পার্টির আয়োজনে অংশ নিবে। বিভিন্ন থিম ভিত্তিক পার্টি গেমসেไর পরিকল্পনা করুন এবং বিজয়ীদের উপহার হিসাবে জাতীয় পতাকা তুলে দিন। বন্ধুদের সঙ্গে আপনার সন্তানও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে।
দেশপ্রেমিক সিনেমা
সিনেমা সবার উপরে একটি বিরাট প্রভাব ফেলে। সন্তানকে দেশপ্রেমিক সিনেমা দেখিয়ে স্বাধীনতার গুরুত্ব শেখানো একটি ভালো উ🐬পায়। পারিবারকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র দেখতে পারেন। সন্তানকে প্রতিটি মಞুহূর্ত বুঝিয়ে দিতে পারেন। এরপর সিনেমাটি থেকে আপনার সন্তান কী বুঝলো কিংবা কী শিখতে পেরেছে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
বই
বই হচ্ছে সেরা মাধ্যম। সন্তানের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে বই সেরা। আপনার বাচ্চা যদি গল্প শোনার উপভোগ করে বা আগ্রহী পাঠক হয় তবে আপনি বিজয় দিবসে আপনার বাচ্চার সঙ্গে বইয়ের দোকান ঘুরে আসুন। সন্তানকে বিভিন্ন বইয়ের মধ্যে পছন্দমতো বেছে নিতে দিন। স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কিত মুক্তিযোদ্ধার বই কিনতে পারেন। বাড়িতে ফিরে বইগুলো আপনার সন্তানের সঙ্গে নিজেও প🌱ড়ুন।
ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে বেড়ান
শহরের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে বেড়ান সন্তানকে নিয়ে। ঐতিহাসিক কোনও জায়গাতে স্বাধীনতার যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা সন্ধান করুন। সন্তানকে ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে ইন্টারনেটের সহযোগিতাও নিতে পারে। ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে এসে বাড়ি ফিরে কী কী🌟 দেখেছে তা একটি ডায়েরিতে লিখতে বলুন। এতে তার ঐতিহাসিক স্থানগুলোর কথা মনে থাকবে।
অঙ্কন প্রতিযোগিতা
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অঙ্কন প্র🍰তিযোগিতা হয়। সন্তানকে সেখানে অংশ নিতে বলুন। সব বয়সী বাচ্চারা এটি উপভোগ করে। জাতীয়ভাবে প্রতিযোগিতা আয়োজন থাকলে তাতে অংশ নিতে সন্তানকে আগ্রহী করে তুলুন। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন চিত্র কিংবা স্বাধীনতার সূর্য রঙের তুলিতে ফুটিয়ে তুলবে আপনার সন্তান। মনের ভাবগুলো রঙের মাধ্যমে তারা অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে পরম আনন্দ পারে।
অভিনব পোশাক প্রতিযোগিতা
বিজয় দিবসে বাচ্চারা সারা দেশ থেকে ঐতিহ্যবাহী পো🌌শাক পরে আসতে পারে। আপনি আপনার এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে এমন একটি আয়োজনের ব্যবস্থা করতে পারেন।
কুইজের আয়োজন
বাচ্চাদের জ্ঞানের ভান্ডার পরখের জন্য কুইজের আয়োজন করতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো বিষয় 🦋সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সর্বোত্তম উপায়গুলোর মধ্যে একটি হতে পারে এটি। বাচ্চাদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারেন। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে প্রশ্নগুলো সাজিয়ে নিন। এছাড়াও স্কুꦜল বা এলাকায় আলোচনা ও কুইজ অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলে সেখানেও সন্তানকে অংশ নিতে আগ্রহী করে তুলুন।