১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনেই বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে বি🌺জয় লাভ করে। প্রতিটি বাংলাদেশির কাছে দিনটি অত্যন্ত গুরুত্🅠বপূর্ণ। সেই গুরুত্ব নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বাংলাদেশে স্বাধীনতা উপভোগ করবে। কিন্তু কীভাবে এলো এই স্বাধীনতা, কী ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে বাঙালিদের, কেমন ছিল একাত্তরের সেই দিনগুলো- এর সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। নতুন শিশুর জন্ম মানেই নতুন প্রজন্মের জন্ম। সেই নতুন𒐪 প্রজন্মের কাছে গৌরবময় স্বাধীনতার কথা তুলে ধরা পরিবারের দায়িত্ব। পরিবার থেকেই শিশুরা প্রথম শিক্ষা পায়। তাই মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে শিশুদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ থাকে ছোট থেকেই। শিশুর কাছে দেশকে উপস্থাপন করতে হবে। দেশ জয়ের ইতিহাসকে উপস্থাপন করতে হবে। তবেই শিশু দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় একাত্তরের ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়। সেক্ষেত্রে সঠিক ইতিহাস যেন শিশুদের কাছে তুলে ধরা হয়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। শিশুরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিনবে। তাদের ত্যাগের কথা জানবে। সাহসিকতা গল্প শুনবে। আর 💝সেই গৌরবময় গল্প জেনে শিশুরা নিজেদের মধ্যে দেশাত্মকবোধ জাগ্রত করবে। দেশকে ভালোবাসবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে শিশুদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। মুক্তি🌼যুদ্ধের গান, নাচ, গল্প, কবিতায় শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এতে শিশুরা আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে। আর ছোটবেলার এই স্মৃতি বড় হয়েও নিজেদের মধ্যে লাﷺলন করবে।
শিশুদের সঙ্গে অবসর সময় কাটালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই পড়ে শোনাতে পারেন। এক সময় শিশুরা নিজের আগ্রহেই সেই বই পড়বে। যেখান থেকে তারা একাত্তরের ইতিহাস জানবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জাগ্রত হবে তাদের মনে। দেশের জন্য কিছু করাღর অনুপ্রেরণা পাবে।
সরকারি-বেসরকারি পর্যায়েও 𝐆বিজয় দিবসে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন রাখা যেতে পারে। এই বছর বিজয় দিবসের দিনটি আনন্দের সঙ্গে উদযাপনের জন্য শ🐲িশুপার্কের প্রবেশ বিনামূল্যে করা হয়েছে। এই দিনে শিশুরা অভিভাবকদের নিয়ে যেকোনো পার্কে ঘুরে বেড়াতে পারবে। এতে বিশেষ দিনের প্রতি শিশুদের বিশেষ আগ্রহ বাড়বে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহামღ্মদ মাহে আলম রাজধানীর ছয়টি পღার্কের কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে নির্দেশনা দেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ডিএনসিসি এলাকার আওতাধীন ছয়টি পার্ক ১৬ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা বিনা টিকিটে শিশুদের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।
এই পার্কগুলো হলো- উত্তরখান মৈনার টেকের গ্রিন ভিউ রিসোর্ট, ℱউত্তরখানের দি হোমস গার্ডেন, দিয়াবাড়ি সোনারগাঁও জনপথের ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড, মিরপুরের তামান্না শিশুপার্ক, কুড়িলের যমুনা ফিউচার পার্ক এবং বারিধারার ভায়𓃲া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস।
বিশেষ দিব🤡সে শিশুদের জন্য এমন আয়োজন অভিভাবকদেরও আনন্দ দেবে। দিনটিকে🌠 স্মরণীয় রাখতে এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদও জানাচ্ছেন বিশিষ্টজনেরা।
সবশেষে শিশুর জন্য বিজয়ের পোশাক কিনতে ভুলবেন না। লাল সবুজ পোশাকে শিশুকে সাজিয়ে দিন। সেই সঙ্গে শিশুর হাতে দিন স্বা♎ধীন বাংলাদেশের পতাকা। আর গালে বা হাতে এঁকে নিতে পারেন লাল সবুজে পতাকার আলপনা। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে পারেন বিশেষ মুহূর্তগুলো।