ইরানে অবস্থানরত সব ফরাসি নাগরিককে যত দ্রুত সম্ভব ইরান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্স। আল-জাজিরা জানায়, গ্রেপ্তার, নির🅺্বিচার আটক ও অবিচারের ঝুঁকি থাকায় এই নির্দেশনা জারি করেছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় বলেছে, “দ্বৈত নাগরিক বা ইরান ভ্রমণরত সব ফরাসি নাগরিক 🥃গ্রেপ্তার, নির্বিচার আটক ও অবিচারের ঝুঁকিতে আছে।” বলা হয়েছে, পর্যটকꦇরাও সেখানে নিরাপদ নন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গ্💧রেপ্তার বা🐼 আটকের ক্ষেত্রে সেখানে মৌলিক অধিকারপ্রাপ্তির কোনো নিশ্চয়তা ফরাসি সরকার দিতে পারছে না।
ইতোমধ্যে ইরানে আটক করা ꦏহয়েছে দুই ফরাসি নাগরিককে। ফ্রান্সের গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। ফ্রান্স গত শু🔯ক্রবার (৭ অক্টোবর) এই দুজনকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে এমন🌠 পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছেন বিশ𒁏্বের নানা প্রান্তের মানুষ। ইরানের নারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজারো মানুষ নিজ নিজ অঞ্চলে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।
রোম, জুরিখ, প্যারিস, লন্ডন, সিওল, ওকল্যান্ড এবং আমেরিকায় বসবাসরত ইরানপ্রবাসীরা আন্দোলনে সংহতি জ🌳ানিয়েছেন। সেখানে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয়রাও। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইরানপ্রবাসীরা হোয়াইট হাউসের সামনে অ💎বস্থান নেন এবং ব্যানার, ফেস্টুন, মোমবাতি প্রজ্বালন এবং স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন।
হিজাব ইস্যুতে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শু෴রু হওয়া বিক্ষোভ ক্রমেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। রাস্তায় নেমে, আগুন জ্বেলে, হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে নানাভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ইরানের নারীরা। এখন পর্যন্ত ইরানের বিভিন্ন জায়গায় ১৩৩ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের ও෴পর কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান সরকার। তবে সরকার যতই কঠোর হচ্ছে আন্দোলনও তত তীব্র হচ্ছে। আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।