প্রতিশোধ সবসময় খারাপ না। অনেকসময় প্রতিশোধ একটি দেশের অর্থনীতিতেও অভূতপূর্ব অবদান রাখতে পারে। এই যেমন ভারতের পর্যটন খাত পাল্টে দিচ্ছে ‘প্রতিশোধ ভ্রমণ☂’। করোনার আঘাত সয়ে উঠে দাঁড়াতে💞 যখন ভারতের এই খাতটি হিমশিম খাচ্ছিল, ঠিক তখনই প্রতিশোধ ভ্রমণ শুরু করেন ভারতীয়রা। কিন্তু কিসের প্রতিশোধ?
২০১৯ সালে ভারতের জিডিপিতে দেশটির পর্যটন খাতের অবꦜদান ছিল প্রায় ৩ শতাংশ। তখন এই খাতে কর্মী ছিল প্রায় ১০ কোটি। তবে ২০২০ সালের করোনায় বিপর্যস্ত হয় পুরো পৃথিবীর পর্যটন। ভারতও তার প্রভাব সহ𝓡্য করেছে। ২০১৯ সালে দেশটিতে পর্যটক ছিল প্রায় ২ কোটি। ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ২৭ লাখে।
তবে এখনো বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা করোনাপূর্ব অবস্থান থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। তবে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই খাতটি ঘুরে দ♈াঁড়াতে পেরেছে কেবল দেশি পর্যটকের কারণে। এজন্য দেশে🍌র মানুষের প্রতিশোধ প্রবণতাকেই দায়ী করেছেন তারা।
দুই বছর কোথাও ঘুরতে যেতে পারেননি ভারতীয়রা। দেশের ভেতর বা বাহির, কোথাও না। ফলে এখন যখন করোনা কমেছে, তখন সবাই ঘরে বন্দী থাকার প্রতিশোধ নিতে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছেন ইচ্ছামতো। আবার বেশি খরচ করে বাহিরে যাওয়ার থেকে দেশেই কম খরচে ঘুরতে স্বাচඣ্ছন্দ্যবোধ করছেন তারা। ফলে ভারতীয়দের এই প্রতিশোধ ভ্রমণে লাভবান💮 হচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবছর তারা প্রচুর লাভের মুখ দেখছেন। তারা বলছেন, করোনার কারণে দেশে ভ্রমণ সহজ হয়েছে এবং বিদেশে ভ্রমণ কঠিন হয়েছে। তাই ঝামেলা এড়াতে দেশের ঐতিহাসিক স্থান, ঘণ বন, পিকনিক স্পট ছাড়াও নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভারতীয়রা। অনেকে বিদেশে ভ্রমণের লক্ষ্যে সারাবছর জমানো টাকা খরচ করছেন দেশে ভ্রমণ করে। পাশাপাশি পর্যটক আকর্ষণ করতে🌌 বেশ ছাড় দিচ্ছে হোটেল-মোটেল আর রিসোর্টগুলো।
তবে এখনো করোনাপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না খাতটির। এজন্য প্রয়োজন বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি। কিন্তু আশার ব্যাপার হলো, ভারতীয়দের এই প্রতিশোধ ভ্রমণে মেঘ কে🔯টে গেছে ভারতের পর্যটন খাতে।
সূত্র: বিবিসি