দুর্দশায় মাসের পর মাস কাটিয়ে দিচ্ছে আফগানরা। প্রতি সপ্তাহেই বোমা হামলায় মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য মানুষের। মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। যে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে, তাদের ওপরও হচ্ছে হামলা। কিন্তু বিশ্ব এসব নিয়ে কথা বলতে অনড়। নিজেদের স্বার্থে তারা ব্যস൩্ত শুধু ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। আর সাধারণ আফগানরা মরছে ব্যাধি, হামলা, ভূমিকম্প আর অনাহারে।
সম্প্রতি এই ইস্যুতে ইউরোপিয়ান সংসদে কথা বলেছেন সংসদ সদস্য ক্লারে ডাল🐠ি। আইরিশ এই রাজনীতিবিদ এবার আফগানিস্তানের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বকে আহ্বান ♒জানিয়েছেন।
ডালি তার টুইটারে সেই বক্তব্যের একটি অংশ শেয়ার করেছেন। সংসদে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মাসꩲের পর মাস আমরা এখানে উপস্থিত হচ্ছি এবং মাসের পর মাস আফগানরা ধুকে ধুকে মরছে। তারা মরছে ক্ষুধায়, ওষুদের অভাবে আর ভূমিকম্পে। তারা মরছে কারণ তারা তাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চায়। এইতো সেদিন ৫৩টি মেয়েকে মেরে ফেলা হলো𓄧। তবে আমাদের প্রেসিডেন্ট তাদের কথা উল্লেখও করতে পারেননি।”
বিশ্ব এই সাধারণ আফগানদের আপদ মনে করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শত শত 💖আফগানিদের হত্যা করা হচ্ছে, হাজার হাজার সাধারণ আফগান নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এই মানুষগুলো গণহত্যার কিনারায় অবস্থান করছে। কিন্তু তবুও বিশ্ব নিরব, আমাদের হাত-পা কুঁড়ে হয়ে আছে।”
আফগান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরবতা এবং ইউক্রেন ইস্যুতে দেশটির বলিষ্ঠতার সমালোচনা করে ডালি বলেন, “তবে যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্ররা তাদের অস্ত্রশস্ত্র 𒅌পরীক্ষা করার নতুন মঞ্চ পেয়ে গেছে। তারা অস্ত্র বিক্রির টাকা ভাগাভাগি করে আমোদে আছেন। আফগানদের আর কোনো প্রয়োজন তাদের নেই। টানা ২০টি বছর শোষণ করার পর এꦬখন তালেবানদের হাতে ছেড়ে রেখে এসেছে মানুষগুলোকে। সাথে জুটেছে আরও হাজারটা সমস্যা।”
ইউক্রেনে অঢেল টাকা ঢালা আর অন্যদিকে আফগানিস্তানের জনগণের টাকা আটকে রাখার ব্যাপারটিকে তিনি বাইডেন প্রশাসনের জন্য লজ🐻্জাকর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, নানা সামরিক অভিযান আর ইউক্রেনে বাইডেন এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫২০ কোটি ডলার খরচ করেছেন আর আটকে রেখেছেন আফগান জনগণের সামান্য ৭০০ কোটি ডলার।
তিনি জানতে চেয়েছেন এই মানুষগুলোর দোষ কোথায়? তাদেরকে কেন এই মৃত্যুকূপে বাঁচার আকুতি করতে হবে? বিশ্ব কেন এꦿখনও কিছু করছ𓄧ে না?
ক্লারে ডালি দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন, এখন কথা বলতেই হবে। তাদের পা𒐪শে দাঁড়াতে হবে। আফগানিস্তানের এই মানুষগুলোর জন্য ন্যায় চা𒆙ইতেই হবে।