আবের দাদা-চাচাও ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২, ০৭:০৫ পিএম

নির্বাচনি প্রচারে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েಞছেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। যার মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো জাপানি সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। শিনজো এমন এক নেতা যিনি বেড়ে উঠেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবারে। তার পরিবারের একাধিক সদস্য ছিলের জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ১৯৫৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর টোকিওতে এক বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আবের আগে জাপানেꦡর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তার দাদা ও বড় চাচা দুজনেই। তার বাবা ছিলেন দেশটির ক্ষমতাসীন ডানপন্থী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাবেক মহাসচিব।

টোকিওর সেকি বিশ্ববিদ্যালয় ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন আবে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ব𒆙্যবসায় প্রবেশ করেন তিনি। ১৯৭৯ সালে কোবে স্টিলের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে ব্যবসায় আত্মপ্রকাশ করেন। এর তিন বছর পর তিনি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহকারী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

আবে প্রথমবার ১৯৯৩ সালে ৩৮ বছর বয়সে জাপানে𝓡র প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে তিনি বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপালন করেন ও ২০০৩ সালে এলডিপির মহাসচিব হন। এর চার বছর পর আবে দলটির প্রেসিডেন্ট হন। এরপরই জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।

তার প্রথম মেয়াদে স্বাস্থ্যখাতে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়। ২০০৭ সালে তিনি দল ও প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। এরপর পাঁচ বছরে বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। সবশেষ ২০২০ সালে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্র♉ীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

নির্বাচনি প্রচারে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এক হামলাকারীর গুলিতে প্রাণ হারান জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘ𝓡টে। পরে কয়েক ঘণ্টা লড়াই শেষে বিকাল ৫টা ৩ মিনিটে๊ আবেকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।