পুতিনের প্রতিক্রিয়া

ফিনল্যান্ড-সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতেই পারে, তবে...

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২, ১২:২৮ পিএম

ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ🌼্টার জেরে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া। চলমান যুদ্ধের মাঝেই নিরাপত্তা ইস্যু দেখিয়ে এবার পশ্চিমা সামরিক জꦆোটে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের নিরপেক্ষ দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।

ইউক্রেনের মতো প্রতিবেশী ফিনল্যান্ডﷺও ন্যাটোতে যোগদানে আগ্রহ প্রকাশ করায় রাশিয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করাটাই স্বাভাবিক। তাই দুই নতুন দেশের যোগদান ও ন্যাটোর জোট সম্প্রসারণের উদ্যোগে নতুন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেওয়ার পর ন্যাটো যদি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে সামরিক অবকাঠামো তৈরি করে, তবে রাশিয়া সমুচিত জবাব দেবে꧑ বলে সতর্ক করে𒀰 দিয়েছেন রুশ নেতা। রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো পুতিনকে উদ্ধৃত করে এমন খবর প্রকাশ করেছে।

গার্ডিয়ান জানায়, ন্যাটোতে যোগদানের ক𓃲ারণে হেলসিঙ্কি ও স্টকহোমের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হবে না, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারে না মস্কো।

এদিকে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাতে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “ইউক্রেনের মতো সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের আঞ্চলিক বিরোধ নেই। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন চাইলে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে। এটা তাদের ওপর নির্ভর করে। তারা যা খুশি করতে পারে। তবে সেখানে 💜যদি সামরিক দল ও অবকাঠামো মোতায়েন হয়, আমরা তাতে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হব। যে অঞ্চল আমাদের জন্য হুমকি তৈরি করবে, আমরাও তার জন্য হুমকি পেশ করতে বাধ্য হব।”

অন্যদিকে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা উত্তর আটলান্টিক জোট ন্যাটোর এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন উদ্যোগের নিন্দা করছি। তারা ইউরোপের বিশেষত্বকে নষ🌳্ট করছে। এর ফলাফল আমাদের উত্তর ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের জন্য সুখকর হবে কি না, তা নিয়েও আমার অনেক সন্দেহ আছে।”

ফিনল্যান্ড 🐠ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে বারবার সতর্ক করেছে রাশিয়া। এ ধরনের পদক্ষেপ ‘গুরুতর সামরিক ও রাজনৈত൲িক পরিণতি’ বয়ে আনবে এবং পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনসহ বাল্টিক অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্য নষ্ট করবে বলেও এর আগে সাবধান করে দেশটি।

এর আগেও রুশ কর্মকর্তারা ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। একে ইউরোপক𓄧ে ‘অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা’ বলেও অভিহিত করেন অনেকে।