ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড-সুইডেনের আনুষ্ঠানিক আবেদন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ০৩:১৫ পিএম

ইউক্রেনে🎀 রাশিয়ার আౠগ্রাসনের কারণে ভূরাজনৈতিক প্রভাবে পরিণতির একটি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যুক্ত হতে চাওয়া। অনেক আলোচনা ও সমাচোলনার পর দুই নর্ডিক দেশ সামরিক জোটভুক্ত হতে আনুষ্ঠানিক আবেদন সম্পন্ন করেছে।

বুধবার (১৮ মে) ন্যাটো সদর দপ্তরে নর্ডিক প্রতিবেশীদের সদস্যপদের আবেদন ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করেছেন জোটের মহ༺াসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। ন্যাটোতে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যাক্সেল ওয়ার্নহফ ও ফিনিশ রাষ্ট্রদূত ক্লাউস কোরহোনেন বুধবার সকাল ৮টার কিছু পরে নিজ নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র হস্তান্ত𒈔র করেন।

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, “ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা আমাদের কাছের অংশীদার। এটি এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমাদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূরꦡ্ণ সময়। আমাদের জন্য আজ এক শুভ দিন। আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

ব🤡ৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে ফিনিশ প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো ও সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের ওয়াশিংটনে যাওয়া▨র কথা রয়েছে। ন্যাটোতে আবেদন ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা নিয়ে আরও বিস্তৃতভাবে আলোচনার জন্য তারা এই সফরে যাচ্ছেন।

জোটে যোগদানের জন্য সব সদস্য দেশের প্রেসিডেন্টের সমর্থন প্রয়োজন হয়। এতে ৮ থেকে ১২ মাস সময় লা🍨গে। তবে নর্ডিক দেশের ক্♛ষেত্রে জোট বলছে, ফিনিশ ও সুইডিশদের ওপর রাশিয়ার হুমকি ঝুলে আছে। এ কারণে তারা দ্রুত এগিয়ে যেতে চায়। কানাডা বলছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের প্রবেশাধিকার প্রটোকল অনুমোদন দেবে।

ন্যাটো রাষ্ট্রদূতরা বুধবার দুই দেশের আবেদন নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের অনুরোধে উভয় দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার বিষয়ে সবুজ সংকেত পাওয়া যেতে পারে। এই সামরিক জোটে যোগদান প্রক্রিয়ার জন্য꧑ সব সদস্যের সর্বসম্মত অনুমোদন প্রয়োজন। যদিও তুরস্ক বলেছে, তারা দুই নর্ডিক দেশের আবেদন সমর্থন করবে না।

তুরস্ক বলছে, কুর্দি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রতি সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সমর্থন ছিল। এতে নর্ডিক দেশগুলোর জোটভুক্ত হতে তাদের আপত্তি আছে। এছাড়া ২০১৯ সালে সিরিয়ায় তুরস্কের💞 সামরিক অভিযানের জন্য আঙ্কারার ওপর অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফিনিশ ও সুইডিশ সরকার।

হেলসিঙ্কি, স্টকহোম ও অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা বলছে, তুরস্কের আপত্তি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে তারা আশাবাদী। অনেক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আগামী বছর নি🎐র্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব করে তিনি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সুবিধা চাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত আবেদনে ভেটো দেওয়ার সম্ভাবনা কম।