ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে রাশিয়া। এবার𝄹 পশ্চিমাদের পাল্টা চাপে ফেলেছেꦑ মস্কো। রুশ নিষেধাজ্ঞায় গ্যাস-সংকটে পড়েছে ইউরোপ। ফলে গ্যাসের ভিন্ন সরবরাহকারীর খোঁজে আছে এই অঞ্চল।
বুধবার ইউরোপের অন্যতম গ্যাসের ডিলার গ্যাজপ্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দি♎য়েছে রাশিয়া। এর এক দিন আগে ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ꦛদেয় কিয়েভ প্রশাসন।
রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ইউরোপের উচ্চ নির্ভরশীলতা রয়েছে। ফলে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে এই অঞ্চলে রুশ গ্যাস সরবরা🎶হের বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। ইউরোপীয় প্রধান ব🥃েঞ্চমার্কে গ্যাসের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ।
ইতোমধ্যে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে মস্কো। এমন সময় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যখন দেশগুলো শীতের আগে গ্যাসের মজুত পূ🦋রণের চেষ্টা করছে।
রাশিয়া বুধবার গ্যাজপ্রমসহ ইউরোপীয় গ্যাসের সহযোগী সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যার মধ্যে রয়েছে গ্যাজপ্রম জার্মানিয়া। ইউরোপে রাশিয়ান গ্যাস বহনকারী ইয়ামাল-ইউরোপ পাইপলাইনের পোলিশ অংশের মালিকের ওপরও নিষেধা🔴জ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র💝ি পেসকভ বলেন, “ক্ষতিকারক কোনো কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না। তাদের রাশিয়ার গ্যাস সর𓄧বরাহের অংশ হতে দেওয়া হবে না।”
রুশ সরকারের ওয়েবসাইট বলছে, ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে যেসব দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করেছে মস্কো। এসব দেশের বেশির ভꦬাগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাসের শীর্ষ আমদানিকারক জার্মানি🍬 বলেছে, গ্যাজপ্রম জার্মানিয়ার কিছু সহযোগী সংস্থা নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্যাস পাচ্ছে না।
জার্মানির অর্থনীতিমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক বুন্ডেস্ট্যাগ নিম্নকক্ষকে বলেন, “গ্যাজপ্রম ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত 🦹হয়েছে। কিছু সহায়ক সংস্থা রাশিয়া থেকে আর গ্যাস পাচ্ছে না। কিন্তু বাজারের বিকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।”
গ্যাজপ্রম বলছে, পোল্যান্ডের মালিকানাধীন ইউরোপোল গাজের বিরুদ্✃ধে নিষেধাজ্ঞার পোলিশ ভূখণ্ড হয়ে গ্যাস রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। ইয়ামাল উপদ্বীপ 𒈔ও পশ্চিম সাইবেরিয়ার রাশিয়ান গ্যাস ক্ষেত্র পোল্যান্ড ও জার্মানির সঙ্গে বেলারুশের মাধ্যমে সংযুক্ত পাইপলাইনটি। এই রুট দিয়ে ৩৩ বিলিয়ন কিউবিক গ্যাস সরবরাহ হয়।