বিটকয়েনকে নিজেদের রা༒ষ্ট্রীয় মুদ্রা হিসেবে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। এরমধ্য দিয়ে দ্বিতীয় কোনো দেশে রাষ্ট্রীয় মুদ্রার স্বীকৃতি পেলো বিটকয়েন।
দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিটকয়েনকে আইনি দরপত্র হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আইন প্রণেতারা সর্বস﷽ম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন। এই পদক্ষেপে বিশ্বের সাহসী ও🉐 সবচেয়ে দূরদর্শী দেশগুলোর অবস্থানে পৌঁছাবে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র।
এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বিটকয়েনকে রাষ্ট্রীয় মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। প্রথম কোনো দেশ হিসেবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবি𓆏লসহ অনেক অর্থনীতিবিদ দেশটির এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে আর্থিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তার।
বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। দেশটি কয়েক দশক ধরে সংঘাতে জর্জরিত। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্ꦗর। কিন্তু গরিব হলেও তারা ধনী। কারণ দেশটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে সোনা, ডাইমন্ড ও ইউরেনিয়ামের খনি আছে।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি অপরাধীদের পক্ষে অর্থ পাচার করা সহজ করে তুলতে পারে। এই মুদ্রা পরিবেশগꦇতভাবে ক্ষতিকারক। এছাড়া এই মদ্রার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিদ্🐲যুৎ খরচের প্রয়োজন হয়।
ওয়ার্ল্ডডেটা ওয়েবসাইট অন🃏ুসারে, যেকোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্ꦉযবহার করার জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন। কিন্তু মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটের আওতাধীন।
দেশটি বর্তমানে আফ্রিকার অন্যান্য সাবেক ফরাসি উপনিবেশগুলোর মতো মুদ্রা হিসাবে ফ্রেঞ্চ সমর্থিত সিএফএ ফ্রাঙ্ক ব্যবহার করে। রাশিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পদ-সমৃদ্ধ দেশের ওপর প্রভাব ✃বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে কেউ কেউ বিটকয়েন গ্রহণকে সিএফএ-কে দুর্বল করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
অর্থনীতিবিদ ইয়ান ডাওরো বিবিসিকে বলেন,💯 এই মুদ্রা ব্যবহার জীবন সহজ করে তুলবে। কারণ স্মার্টফোনের মাধ্যমে লেনদেন করা যেতে পারে। বিটকয়েনকে অন্য যেকোনো মুদ্রায় রূপান্তর করা সহজ। ব্যবসায়ীদের আর সিএফএ ফ্রাঙ্কের স্যুটকেস নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে না। যা বিদেশে কেনাকাটা করার জন্য ডলার বা অন্য কোন মুদ্রায় রূপান্তর করতে হতো।
কম্পিউটার বিজ্ঞানী সিডনি টিকায়া মনে করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত। বিটকয়েন সম্পূর্♉ণরূপে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। যেখানে আমদের 💝দেশে এখনও ইন্টারনেট সরবরাহ অনুন্নত।
১৯৬০ সালে স্বাধীনতার পর থেকে চলমান সংঘর্ষে ভুগছে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। ২ꦅ০১৩ সালে মুসলিম বিদ্রোহীরা খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির নিয়ন্ত্রণ দখল করে। এরপর আত্মরক্ষায় কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী গঠিত হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষ পরে ধর্মীয় সংঘাতে রূপ নেয়।
২০১৬ সালে ফাউস্টিন-আর্চেঞ্জ তোয়াদেরা ক্ষমতা আ🌱সেন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর থেকে দেশের কৌশলগত জোট ফ্রান্সের কাঁচ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। রাশিয়ার সঙ্গে জোটভুক্ত হয় মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র।