ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহত

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২২, ০৪:৩৭ পিএম

অধিকৃত পশ্চিম তীরে গ্রেপ্তার অভিযান চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিন ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি ꦺকরা হয়েছে।

রয়টার্স বল🌜ছে, মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তꩲিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইসরায়েলি সাম🐻রিক বাহিনী বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেরিছ শহরের একটি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলি প্রবেশ করে। সেখানে প্রবেশ করার পর তাদের লক্ষ্য করে পা💝থর ও অগ্নিগোলা ছোড়ে ফিলিস্তিনিরা। তখন গুলি চালাতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি বাহিনী।

ফি⛄লিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ব্যক্তি ২০ বছর বয়সী আহমেদ ইব্রাহীম ওয়েইদাত। তার মাথায় গুলি লাগে♕। গুলিতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অপরাধের নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাতায💞়েহ। এ ছাড়া হামলায় ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।

ইসর🌌ায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, আকাবাত জাবর শরণার্থী শিবিরে ‍‍‘কাঙ্ক্ষিত সন্দেহভাজনদের ধরতে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যকলাপ’ পরিচালনা করছিল সেনারা। তখন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি সেনাদের ওপর আক্রমণ করে।

ফিলিস্তিনি হামলাকারিরা টায়ার জ্বালিয়েছে। সৈন্যদের দিকে ঢিল ও মোলোটভ ককটেল নিক্ষেপ করেছে। সৈন্যরা দাঙ্গা ছত্রভঙ্গ করতে গ💙োলাবারুদ দিয়ে জবাব দিয়েছে। এতে কোনো ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা সেনাদের দিকে ঢিল ছুড়েছে। পরে গুলিতে একজন নিহত হন। পশ্চিম তীর ও ইসরায়েলে সাম্প্রতিক সহিꦬংসতার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী বা🦩বা ও ছেলেসহ দুই ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।

গত বছর রমজান মাসে আল-আকসা প্রাঙ্গণে একই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন গাজা অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে হামাসের স🐽ঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর ব✤্যাপক সংঘর্ষ হয়। সে সময় শত শত মানুষ হতাহত হয়। এবার চলমান সংঘর্ষ গতবারের মতো রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্চের ২২ তারিখ থেকে আরব আততায়🌌ীর হামলার ১৪ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন পুলিশ অফিসার রয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি পুলিশের হাতেও ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বন্দুকদারি ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন।