নাইজেরিয়ায় একটি অবৈধ তেল শোধনাগারের ডিপোতে বিস্ফোরণে শতাধিক প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার ইমো রাজ্যের শেষ সীমা🅰ন্তে ওহাজি-এগবেমা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তা ও পরিবেশবাদী সংগঠনের তথ্যের বরাতে এই জানিয়েছে রয়টার্স।
রাজ্য জ্বালানি❀ দপ্তরের কমিশনার গুডলাক ওপিয়া জানান, “অবৈধ তেলের বাঙ্কারের আগুন থেকেই এই দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এতে ১০০ জনেরও বেশি&n✨bsp;মানুষ দগ্ধ হয়ে মারা গেছে।”
পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথস🎃 অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভোকেসি সেন্টার জানিয়েছে, অব🌟ৈধভাবে বিক্রি করা জ্বালানি তেল কেনার জন্য লাইনে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি এই বিস্ফোরণে পুড়ে গেছে।
আফ্রিকার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ নাইজেরিয়া। সরকারী কর্মকর্ত𝓀ারা জানান, নাইজেরিয়ায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পাইপলাইনগুলো ছিদ্র করে বা চুরি করে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ব্যারেল তেল বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। যা দেশটির মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশেরও বেশি। দুর্ঘটনার শিকার অবৈধ শোধনাগার💧টি ওহাজি-এগবেমা এলাকার আবায়েজি বনের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল।
বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিমোচনের নামে নাইজেরিয়ায় এসব অবৈধ তেল-উৎপাদন ব্যবসা দিন দিন বেড়েই চলছে। অব্যস্থাপনার কারণে সেখানে প্রায়ই এসব দুর্ঘটনা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনছে। দুর্ঘটনার পাশাপাশি কৃষিজমি, খাঁড়ি ও হ্রদগুলিতে তেল ছড়িয়🦩ে পড়ায় এ অঞ্চলের পরিবেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এর আগে অক্টোবরে রিভারস রাজ্꧑যে আরেকটি অবৈধ শোধনাগারে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে কয়েকজন শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, চুরি করা অপরিশোধিত তেল পরিশোধন বন্ধ কর♑ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এ উদ্দেশ্যে রাজ্যে ব্যাপক ধরপাকড় চললেও তাতে খুব একটা সাফল্য আসেনি।