পাঠ্যবইয়ে যৌতুকের গুণাবলি!

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২২, ১০:০৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

যৌতুক প্রথা রোধে বিশ্বে সচেতনতার কমতি নেই। এই প্রথা বন্ধে এক এক দেশ ভিন্নভাবে চেষ্টার কমতি রাখেনি। বিশেষ কর🔜ে ভারতীয় উপমহাদেশে যৌতুক প্রথা বন্ধে বিভিন্ন দেশের সরকার আইনও প্রয়োগ করছে। এই প্রথা পুরোপুরি বন্ধ না হলেও কিছুটা কমেছে।

এবার যৌতুক প্রথার গুণাবলি শেখানো হচ্ছে পাঠ্যবইয়ে! অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে ভারতে। যৌতুক প্রথার গুণাবলি ফলাও করে নার্সিংয়ের 🦩শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়েও ছাপিয়ে পড়ানো হচ্ছে।

এনডিটিভি বলছে,  ‘যৌতুকের গুণাবলꦰি’ শীর্ষক ওই অংশটিতে একাধিক তথাকথিত গুণাবলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নার্সিং শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠ্য এই বইটির প্রচ্ছদে লেখা রয়েছে, বইটি ভারতীয় নার্সিং কাউন্সিলের পাঠ্যক্রম অনুসারে লেখা হয়েছে।

পাঠ্যবইয়ে এমন পাঠ দেশটির সর্বস্তরের মানুষকে বেশ অবাক করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন অনেকে। তারা আশ্চর্য হয়েছেন এই ভেবে যে এ ধরনের পাঠ্যসূচি তর🍨ুণদের কাছে এবং সমাজের কাছে কী ধরনের বার্তা পাঠাচ༒্ছে।

বইটির ওই অংশে বলা হয়েছে, যৌতুকে যে ধরনের আসবাব যেমন, রেফ্রিজারেটর, গাড়ি ইত্🃏যাদি দেওয়া হয় তা নতুন পরিবার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।

এছাড়া বইয়ের ওই অংশে যৌতুকের গুণাবলি হিসেবে আরও বলা হয়, মেয়েরা ♓সাধারণত পিতা-মাতার সম্পত্তির অংশ পায় না তাই যৌতুকের মাধ্যমে তা অনেকটা পূরণ করা যায়।

সেখানে আরও বলা হ♒য়েছে, যৌতুকপ্রথার একটি পরোক্ষ স๊ুবিধা হলো অভিভাবকেরা এখন তাদের মেয়েদের শিক্ষিত করা শুরু করেছেন যাতে কম যৌতুক দিতে হয়।

শেষ পয়েন্ট হয়েছে, যৌতুকপ্রথা ‘কুৎসিত চেহারার মেয়েদের’ বিয়ে করতে সাহায্য ক��রꦺে।

ভারত সরকার অনেক আগেই দেশটিতে যৌত🧜ুক নিষিদ্ধ করলেও বর্বর এই প্রথা দেশটিতে এখনো রয়ে গেছে।