প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্যালিকাকে হত্যার পর দেহ তিন টুকরা করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়েছেন দুলাভাই। এ ঘটনায় হত্যাকারীকে 💝গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোমহর্ষক এই ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার☂ টালিগঞ্জের কাছে গল্ফ🌱গ্রিন এলাকায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনডিটিভির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় একটি পলিথিন ব্যাগে ছিন্ন মস্তক পড়ে থাকতে 🌠দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাটা মস্তকটি উদ্ধার করে। এরপর অন্য দুটি স্থান থেকে শরীরের অন্য দুই অংশ উদ্ধার করা হয়। মস্তকের আঘাতের চিহ্ন ও তাজা রক্তের উপস্থিতি দেখে পুলিশের অনুমান, ওই নারীকে হত্যার পর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মস্তকটি ওই স্থানে ফেলা হয়েছিল।
সিসিটিভি ফু✃টেজ ও এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে, ওই নারী টালিগঞ্জের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। সম্প্রতি ওই নারীর প্রতি পেশায় নির্মাণশ্রমিক দুলাভাই আতিউর রহমান লস্কর অস্বাভাবিক আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, হত্যার শিকার ওই নারীর নাম খাদিজা। তিনি ও তার দুলাভাই আতিউর একসঙ্গে কাজে যাতায়াত করতেন। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। আতিউর তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওই নারী স্পষ্টভাবে তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এ ছাড়া আতিউরের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন এবং ফোন নম🎐্বর ব্ল♋ক করে দেন। এতে আতিউর ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাজ শেষে💙 খাদিজা বাড়ি ফেরার সময় আতিউর তাকে জোর করে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। সেখানে তিনি প্রথমে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন। পরে শিরশ্ছেদ করেন এবং তার দেহ তিন টুকরা করেন। এই টুকরাগুলো আলাদা আলাদা স্থানে ফেলে দেন আতিউ💖র।
এ ঘটনায় আতিউর রহমান লস্কর💯কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জে☂লার ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙ্গা গ্রাম থেকে আতিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়।