‘একজন নারী পুরুষকে চুমু খাচ্ছে, এর চেয়ে মধুর আর কী হতে পারে’

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ০২:২৩ পিএম
সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। ছবি

ভারতীয় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, গীতিকার  ও লোকসভার সাবে🌞♓ক সদস্য কবীর সুমন। বয়স ৭৬-এর গণ্ডি পার করে ফেলেছেন। রসিকতা কমেনি। সামাজিক মাধ্যমে সরব থাকেন এই গুণী সংগীতশিল্পী। তার অনেক স্ট্যাটাসই নেটিজনদের মনে ধরে। ভাইরাল হয় তার পোস্ট। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সুমন লিখলেন চুমু নিয়ে।

সম্প্রতি তার ফেসবুকে লিখেছেন, “অবাক হয়ে যাচ্ছি, লোকে এতে রুষ্ট হচ্ছে দেখে। একটা মানুষ একটা মানুষকে চুমু খাচ্ছে। একজন পুরুষ হয়তো কোনো মহিলাকে চুমু খাচ্ছেন। কিংবা একজন নারী একজন পুরুষকে। একজন পুরুষ আর একজন পুরুষকে কিংবা এক নারী অন্য নারীকেও এভাবে চুমু খেতে পারেন। এর চেয়ে মধুর, এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে এই হানাহানির জ✃গতে?”

কবীর সুমন বলেন, “আমার না হয় ৭৬ চলছে। আগামী মার্চে ৭৭-এ প♔া দেব। আমি তো বুড়ো মানুষ হয়ে গিয়েছি, সেইভাবে দেখতে গেলে। তার পরেও এসব দেখে ভেবেছিলাম, বান্ধবীদের বলব, চলো তো আমরা চুমু খাই। দেখি তো কী হয়। তারা হয়তো রাজিও হবেন।”

কিন্তু আড়ালে। তার ন্যায্য কারণ আছে। ওদের যুক্তি, “তোমায় প্রকাশ্যে চুমু খেলে খবরের কাগজে নাম বেরিয়ে যাবে! অন্য কাউকে হ⛦লে হতো।꧅’

শিল্পী বলেন, “আমার একাধিক বান্ধবী। কেউ হয়তো কারওಌ বোন, বউও হতে পারেন। তাই ওদের যুক্তি মানা যায়। কিন্তু যারা চুমু খেলেন, তারা🍬 তো সেটা নন। ওরা তো চমৎকার একটা জিনিস করলেন। আমি ওদের কাছে কৃতজ্ঞ। যদিও যারা এটা করেছেন তারা তো আর আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব এই ভেবে চুমু খাননি। তাদের উদ্দেশে বলব, সারা জীবন যেন ওরা এভাবে চুমু খেয়ে যেতে পারেন।

একবার আনন্দবাজার অ𓂃নলাইনের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। তার মধ্যে একটি, এভাবে প্রকাশ্যে ভালবাসা প্রদর্শন কি কোনোভাবে লোকদেখানো?

জোর গলায় বলেছি, ‘একেবারেই না। লোকদেখানো মনে হয় না। উদাহরণ হিসেবে বলি, হিন্দুদের বিয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ‘লাজাঞ্জলি’। সেখানে আগুনে খই ফেলার সময় স্বামী কী সুন্দর পেছন থেকে তার নববধূকে জড𝄹়িয়ে ধরেন। এখানেও তো দুটো শরীর পরস্পরের স্পর্শ পায়। আহা, কী দৃশ্য! সেটাও তো প্রকাশ্যে হচ্ছে। তাতে কোনো আপত্তি উঠছে না তো?

আবার খ্রিস্টানদের বিয়ের পর পুরোহিত নির্দেশ দেন, এবার বর-বউকে চুমু খেতে পারেন। তাতেও কারও সমস্যা নেই। ধরুন, আমিই কাউকে ভালবাসছি। তিনি ৭৬-ও হতে পারেন কিংবা ৮০। না হওয়ার কোনও কারণ নেই। ওই মুহূর্তে আমরা তো পৃথিবীতে একা! কী আসে যায়? ওই মুহূর্তে যদি বজ্রপাতেও আমাদের মৃত্যু হয়, তাতেই বা কী এসে যায়? বরং হানাহানির যুগে এটা তো বাঁচার,ജ ভালোবাসার শক্তিশালী নিশান।’

আর এ𒈔কটা কথা বলি, বিষয়টি শীতকালে হল। আরও ভালো ব্যাপার। এই প্রসঙ্গে ব্রেখটের লেখা একটি কবিতার দুটো পঙ্‌ক্তি মনে পড়ে গেল, ‘বছর ফুরোতে চলল, ভালোবাসা শুরু হলো!’