বাঙালির অহংকার বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। মহান এই বিজয়ের মাস শুরু হয়েছে দু সপ্তাহ আগেই। এ মাসে কৃতজ্ঞ বাঙালি 🌞জাতিই হৃদয়ের অঞ্জলি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধ✤ীনতা।
লাখো শহীদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, একটি লাল সবুজের পতাকা। তাই ডিসেম্বর মাস বাঙালি জাতিসত্ত্বা আর নিজস্ব ভূমির গৌরবদীপ্ত বিজয় ও অহংকারের মাস।
মহান মুক্তিযুদ্ধ এ দেশের শিল্প সাহিত্যকে বরাবরই প্রভাবিত করেছে। যুগে যুগে অনেক নাটক ও সিনেমাও তৈরি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। ত💙ৈরি হয়েছে অনেক গানও। সেইসব সৃꦡষ্টি দর্শক-শ্রোতাদের যেমন বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে, তেমনি দিয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাসের নানা রকম শিক্ষাও। তবে গৌরবদীপ্ত এ মাসে মুক্তি পায়নি কোনো মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা।
বিজয়ের এ মাসের প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে বিপ্লব হায়দারের ‘ভয়াল’। সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান। পরের সপ্তাহে মুক্তি পায় ‘নয়া মানুষ’ ও ‘দুনিয়া’।
এর পর ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে দুই ꦺছবি ‘ডেঞ্জার জোন’ ও ‘হুরমতি’।ဣ ডেঞ্জার জোন সিনেমা পরিচালনা করেছেন বেলাল সানী। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী ও ফাল্গুনি রহমান জলি। অন্যদিকে শবনম পারভীনের ‘হুরমতি’র ছবিতে অভিনয় করেছেন শবনম পারভীন ও নায়ক শ্রাবণ শাহ। এ ছাড়া আসছে সপ্তাহে (২০ ডিসেম্বর) মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে তানভীর হাসানের ‘মধ্যবিত্ত’ ও শফিক হাসানের ‘বাহাদুরি’।
২৭ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে তিন ছবি। এর মধ্যে রয়েছে আব্দুল মান্নানের ‘কিশোর গ🐓্যা𝔉ং’, জেসমিন আক্তার নদীর ‘জল শ্যাওলা’ ও মেহেদী হাসানের ‘ক্ষত’। মহান এই বিজরে মাসে ৮টি সিনেমার মধ্যে নেই মুক্তিযুদ্ধের একটি সিনেমাও।
যদিও এখন পর্যন্ত অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধের ��চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। যেখানে ‘ওরা ১১ জন’, ‘মেঘের অনেক রঙ’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘গেরিল꧑া’ ইত্যাদি ছবিগুলো নান্দনিক সংযোজন হয়ে আছে।
মুকꦰ্তিযুদ্ধের সিনেমার🦩 মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে ‘ওরা ১১ জন’ ‘মেঘের অনেক রঙ’, ‘আগুনের পরশমণি’ ও জয়া অভিনীত ‘গেরিলা’।
এবার বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা মুক্তি নেই, এই বিষয়ে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘স্বাধীনার পরপর কিছু মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা তৈরি হয়েছিল। এখন মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা আর দর্শক দেখে না। প্রযোজকরা তাই অর্থলগ্নি করেন না। আমারা পরিচালকরাও আগ্রহ দেখায় না।”
প্রবীন এই নির্মাতা আরও বলেন, “আমি অনেক বছর আগে মুক্তিযুদ্ধের এটি সিনেমা করেছিলাম, নাম ছিল ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’। অনেক দিন আর করা হয়নি। সম্প্রতি ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে একটি বড় বাজেটের সিনেমা বানালাম। সামান্য কিছু শুটিং বাকি আছে। এটা গুছিয়ে মুক্তি দেওয়া চিন্তা করছি। মুক্তিযুদ্ধে সিনেমা করতে বড় বাজেট লাগে, সেই অনুপাতে টাকা ফেরত আসে না। যে কারণে প্রযোজক পরিচালকদের আগ্রহ নেই।”
বিজয়ের মাসে হলে স্বাধীনতার সিনেমা প্রসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। তিনি বলেন, “এখন কেউ সিনেমাই দেখে না, আমরা বাজে মানের সিনেমার কারণে হল বন্ধ রেখেছি। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা হাতে গোনা কিছু লোক দেখে, তাতে আমাদের কোনো লাভ হয় না। আমাদের🌞 মুক্তিযুদ্ধকে তরুণ প্রজন্মকে দেখাতে সরকার ভূমিকা নিতে হবে।”