পাহাড়িদের ওপর𒈔 হামলা, খুন ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় খাগড়াছড়িতে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা ৭২ ঘণ্টার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন কᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚরছেন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) অবরোধের দ্বিতীয় দিন খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে𒈔র সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খাগড়া♋ছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ আন্তঃউপজেলাগুলোতেও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঢাকায় বিক্ষ❀ুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে ঘোষিত তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে আঞ্💦চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ। অবরোধের সমর্থনে সকালে খাগড়াছড়ি সাজেক সড়ক, পানছড়ি ও রামগড় সড়কে টায়ার জ্বালায় অবরোধকারীরা। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তাꦗ জোরদার করা হয়েছে। সড়কে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের ট🐟হল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি সদরে মোটরসাইকেল চুরিকে কেন্দ্রে করে গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামের এক বাঙালি যুবকের মৃত🐈্যুর পর সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই দিন সেখানকার পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরদিন বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হত্যার প্রতিবাদে দীঘিনালায় বাঙালিরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বাঙালিদের অভিযোগ, মিছিলটি বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে দীঘিনালার লারমা স্♈কয়ারে বিভিন্ন দোকান ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, আগুনে দীঘিনালা বাসস্টেশন ও লারমা স🔯্কয়ার এলাকায় ১০২টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে পাহাড়িদের ৭৮টি ও বাঙালির সম্প্রদায়ের ২৪টি দোকান রয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলায় সংঘর্ষেꦗর জেরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, পানছড়ি ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে গ💙োলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় ৩ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২০ জন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল চাকমা (৩০)।