স্পিডবোট নিয়ে ফেনীর পথে শরীয়তপুরের যুবকরা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ১২:২৫ পিএম

বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সডিহযোগিতায় একটি 🌳স্পিডবোꦍট ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে শরীয়তপুরের একদল যুবক।

শুক্র𒁏বার (২৩ 🧸আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস, এম আহসান হাবীব। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ꦍজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।

জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বেশ কয়েকটি জেলা। এরমধ্য꧒ে ফেনী জেলার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেখানে বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে অসংখ্য লোকজন। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

ফেনীর বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেন🌃 শরীয়তপুরের বেশ কিছু শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। তারা বন্যার্তদের সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহ করার জন্য ফান্ড গঠন করেন। পরে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তা নিয়ে একটি স🔜্পিডবোট ঠিক করে অন্তত ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধসহ বিভিন্ন জরুরি সামগ্রী স্পিডবোটে করে ফেনীর বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানায় তারা।

স্বেচ্ছাসেবী মোহাম্মদ তুষার বলেন, “ফেনীর বন্যাদুর্গত মানুষের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তাদের এই অবস্থায় আমরা মানুষ হিসেবে ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই তাদের সাহায্যে শরীয়তপুর থেকে ত্রাণসামগ্রী ও একটি স্পিডবোট নিয়ে রওনা হয়েছি। আমাদের এই ছোট প্রচেষ্টায় তাদের কষ্ট যদি কিছুটা কমে আসে, তাহলে সেটাই আমাদের সার্থকতা। সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করলে আমরা এই দুর্যোগ কাটিয়๊ে উঠতে পারব।”

সালমান রহমা♉ন সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “মূলত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা জেলার মানুষের সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহ করে সেই অর্থ সামগ্রী নিয়ে ফেনীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছি। কিছুটা হলেও তাদের সহায়তা করতে পারব বলে মনে করি।”

এ ব🔯িষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস, এম আহসান হাবীব বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য  শিক্ষার্থীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা প্রশংসাযোগ্য।🧔 তারুণ্যের এই শক্তিকে ব্যবহার করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের এই প্রচেষ্টা বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সহায়ক হবে বলে আশা করছি। তাদের সহমর্মিতা এবং দায়িত্ববোধ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”