বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি

ফেনীর ৩ সাবেক এমপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
সাবেক তিন সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। (বাম থেকে)

ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি♈তে নির্বিচারে গুলিতে নিহতের ঘটনায় জেলার সদ্য সাবেক তিন সংসদ সদস্যকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে ফেনী মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক ছয় হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ১ হাজার ৯২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ব💎িকেলে মহিপালে নিহতদের মধ্যে মোবাইল টেকনিশিয়ান ওয়াকꦓিল আহমেদ শাকিবের মা মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে ১৫১ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

নিহত শাকিব সদর উপﷺজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন জাতীয় পার্ট𝄹ির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করার পরিকল্পনা ও নির্দেশনার অভিযোগে তাদের আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহ🐈ুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক ছয়টি মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের স🥃ভাপতি ও ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করিম উল্লাহ বিকম প্রকাশ রেন্সু করিম, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল প্রমুখ।

এর আগে এ ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক পাঁচটি মামলায় জেলার অ൲ন্তত ৪০ জন জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ ও স🌜হযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। এ সময়ে শহরের ট্রাংক রোডে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বেলা দুইটার দিকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মহিপাল ফ্লাইওভ🌼ারের দিকে এগোতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। 

এ সময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি, ককটেল বিস্ফোরণে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে꧟ থেমে সেখানে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষের একপর্꧋যায়ে মহিপালের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে ৯ জন নিহতের পাশাপাশি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।