গদখালী বাজারে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা

মো. নয়ন হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৪:০০ পিএম
১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা চাষিদের। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রাত পোহালেই মহান বিজয় দিবস। আর এই দিবসকে ঘিরে জমে উঠেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ফুল বাজার। এর আগে কয়েকটি মৌসুমে নানা সংকটের কারণে 💙এই বাজারে তেমন ফুল বিক্রি হয়নি। এবার বিক্রি বেড়েছে। সেই সঙ্গেܫ ভালো দামও পাচ্ছেন চাষিরা।

চলতি মৌসুমে সামনে নতুন বছর বরণ, বসন্ত ও বিশ্ব ভাল𓂃োবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার🥂 ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী এই অঞ্চলের চাষিরা।

সরেজমিনে গদখালী পাইকারি ফুল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকে ফুলে ফুলে ভরপুর পুরো বাজার। ক্রে🐭তা-বিক্রেতার ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। খুব ভোর থেকে সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত চলে এখানকার বেচা-কেনা। এই স্বল্প সময়ের পুরোটাজুড়েই জমজমাট থাকে বাজারটি।

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, চায়না গোলাপ প্রতি পিস ১২𓃲-১৫ টাকা, সাধারণ ꧒গোলাপ ৮-১২ টাকা, রজনীগন্ধা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতি পিস ৫ টাকা, রখস্টিক প্রতি তোড়া ২০ টাকা, জিপসি এক তোড়া ৫০ টাকা, কামিনী পাতা এক তোড়া ৫০ টাকা, গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ২০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নজরুল ইসলাম নামের এক ফুল ব্যবসায়ী জানান, বিগত দিনে দেশের নানা সংকটময় পরিস্থিতিতে ফুল চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সেই ক্ষতি বা বিপর্যয়ের দিনগুলো পেছনে রেখে এবার চাষিদের মুখে হꦡাসি ফুটবে।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট গদখালী ফুল বাজার। ছবি: সংবাদ প্রকাশ

পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি মীর ফয়েজ আহমেদ সংবাদ প্🎃রকাশকে জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ফুলে𓆏র দাম আগের থেকে বেশ ভালোই বেড়েছে। ফুলের দাম পেয়ে খুশি তিনি।

ফুলের আড়ৎদার মিজানুর রহমান বলেন, “বিজয় দ𝓀িবস ঘিরে ফুলের বাজার বেশ চড়া। কৃষকরা এই দাম পেয়ে খুব খুশি। এই দাম থাকলে মোটামুটি ব্যবসা করতে পারব।”

স্থানীয় চাষিরা জানান, দুই সপ্তাহ আগেও ▨ফুলের তেমন একটা দাম ছিল না। এর একমাত্র কারণ ছিল হরতাল ও অবরোধ। এখন আবার ফুলের দাম বেড়েছে। বিজয় দিবস, বসন্ত ও 𒐪ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ফুলের বাজার বেশ চড়া থাকবে।

এদিকে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম সংবাদ🐈 প্রকাশকে জানান, বিজয় দিবস, ইংরেজি নববর্ষ, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এ বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। তবে চলতি মৌসুমে বাংলা নববর্ষ ও ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস রমজান মাসে হওয়ায় ফুলের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকবে।