ইচ্ছা ও মনোবল দিয়ে হেলালের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয়

মো. নয়ন হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৩, ০১:০৩ পিএম
দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান হেলাল উদ্দিন

নাম হেলাল উদ্দিন। দুটি হাত কার্যত অকেজো তার। দুই কবজি নিচের অংশ নেই বললেই চলে। এই প্রতিবন্ধকতা তার স্বপ্নযাত্রাকে থামিয়ে ༺দিতে পারেনি। শারীরিক প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে হেলাল উদ্দিন এখন স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। সমাজকর্ম নিয়ে পড়ছেন সরকারি বাংলা কলেজে।

হেলাল যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দপপুর গ্ꦕরামের⭕ লিকনুর রহমান ও সামিরা খাতুনের তৃতীয় সন্তান।

২০১৮ সালে কেরালখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.২🦄৮ ও ২০২০ সালে সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ ৩.৪২ পেয়ে উত্তীর্ণ হন হেলাল।

হেলাল বলেন, “আমার হাতের সমস্যার কারণে হাত দিয়ে লিখতে খুব কষ্ট হতো। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে এখনো কষ্ট হয়। আমি সংগ্রাম করছি। সংগ্রাম করে বাঁচতে শিখেছি। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভা♏লো ফলাফল করে বাবা-মাসহ শিক্ষকদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি। আমার স্বপ্ন উচ্চশিকꦓ্ষিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করা।”

হেলাল আরও বলেন, “আমার বাবা একজন কৃষক। তার পক্ষে আমার পড়াশোনার খর🍒চ যোগানো কষ্টের। এটাই আমার জীবনের একমাত্র সমস্যা। তবুও আমি চেষ্টা করে যাব লক্ষে পৌঁছানোর।”

হেলালের বাবা লিকনু♕র রহমান জানান, তারাও হেলালকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তার ছেলে মেধাবী। সে নিজের চেষ্টায় পড়াশোনা করছে।

হেলের সহপাঠী আমিনুর রহমান বলেন, হাতের কবজি দিয়ে লিখলেও হেলালের লেখা অনেকের চেয়ে সুন্দꦓর ও ঝরঝরে। সে মেধাবী শিক্ষার্থী। সরক🦂ারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলে হেলাল তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, “হেলাল প্রত🔴িবন্ধী হল🤪েও যথেষ্ট মেধাবী এবং পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও খুবই পারদর্শী। আমি আশা করবে নতুন শিক্ষাজীবনে সবাই হেলালকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। হেলালের জন্য শুভকামনা সব সময় তার মঙ্গল কামনা করি।”